নদী পাথরে সূর্যোদয়
————-
“”বিজিত গোস্বামী””
আধফোটা সূর্যোদয় নতুন কিছু নয়;জীবন সায়াহ্ণে
নিবুনিবু দীর্ঘশ্বাস!বুকেই জমে থাকে চাপা অথর্ব পরাজয়
প্রতিদিন বায়না কে যাবে কার আগে;কার মৃত্যু লিখে ইতিহাস
কে বলবে;আমিই সয়ম্ভু আমিই সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত
ঝিলের বাহু ধরে আজ হাজার শাপলা জেগে উঠে
মজলিসের আসরে টাকার দরে বিকোয় সন্ধ্যা
রাতের বেহায়া এসরাজ তার পায়ে লিখেছে যন্ত্রণা!
তবলার লহর ঘুঙুর আর্তনাদ মিলে মিশে একাকার।
নদীর হাহাকার,তার কান্না দেখেনি কেউ—
শোষন সমাজে নদী নামে ওই একটি মেয়ে
দেখেনি শাশ্বত এ সূর্য
দেখেনি আদর সোহাগের দিগন্ত বলিরেখা
দেখেছে কেবল কী করে রাত থাকে দাঁতে দাঁত ঘষে
আশাবরী রাগে শরীর তলে ঘেন্না লুকিয়ে নাচে
নদী তুমি কার—
আমার তোমার সকলের;তুমি দুঃখের শতো পাথর!
দার্জিলিংয়ের সূর্যোদয় দেখনি তুমি, তুমি অচ্ছুত; কে বলেছে?
নদী তোমার স্নাত এ শরীর আমায় দাও
আমি তুলে রাখবো বুকের পাঁজরে সেই ক্ষত!
আমি যে ইজ্জত।
এ নদী মরা নদী নয়—
এ নদীর হাজার শ্বাসে নারী জেগে উঠে
ওই দেখো জাগছে নদী;ওই তার প্রবল স্রোতে
ভাঙছে বেড়িজাল;তান্ডব হয়ে ছুটে আসে টুঁটি ধরবে বলে।
এই প্রথম এক সতেজ সূর্যোদয়—
এই প্রথম শৃঙ্খল ভাঙা গানে নদী কথা দেয়
আমি সব পারি।