গ্রাম্য রাতের কথা
বাহার উদ্দিন আহম্মেদ শ্রাবণ
কখনো কি গ্রামে রাতের আকাশ দেখেছো?
চার দিকে নিস্তবতার এক রাশ কালো আভা,
ঝোপঝাড়ে জোনাকির মিট মিট আলোক সজ্জা।
রাত নেমে আসার আগেই চেরাগ নিভিয়ে,
ঘুমিয়ে পাড়া,
নিশব্দের পল্লী হয়ে উঠত গ্রাম গুলা।
মধ্য রাতে ভুতুম প্যাঁচার ডাক,
মাঝে মাঝে কাকের কোলাহ মিশ্রিত শব্দ,
বেশ ভাল লাগার মত একটা রাত!
জোস্নার ম্লান রূপালি আলোতে,
চাঁদের মা বুড়ির রূপকথার গল্প;
শুনতে অথবা বলতে কে না ভালবাসবে?
রাত হলেই রূপকথার
সেই পুরনো গল্প গুলা শুনতাম,
দাদুর মুখে।
চাঁদনী রাতে,
কোথাওবা হয়ে থাকে বিশাল গানের আসর,
পুঁথিঘরের মানুষের পুথিপড়ার কুচকাওয়াজ আরো কতই না ,
আর এই গুলো ছিল,
কেবলমাত্র গ্রামের ক্ষেত্রেই মানানসই।
শহরের ব্যস্ততার নগরী থেকে,
গ্রামের সহজ-সরল মানুষ মিশ্রিত গ্রাম্য পল্লীর রাত গুলা একটু অন্য রকমই হয়ে থাকে।
নেই কোনো হাহাকার, নেই কোনো যান্ত্রিকতার আশ্রিত, নেই কোনো বিবাধ,
কতই না মধুরাতি সেই বাংলার পল্লী গুলো।
সেই পল্লীতে রাত কাটানো একটু আলাদাই হয়ে থাকে শহর জীবন থেকে।