“সময়”
_____
গৌতম চট্টোপাধ্যায়
________________
শব্দের মিছিলে অসহায় আমি….!
নিরুত্তর, নিস্তেজ, নির্লিপ্ত হয়ে
অনাহুত আমি বহন করে চলেছি
অজ্ঞাত সময়ের পরিত্যক্ত পতাকা…!
সফলতার খোঁজে ব্যস্ত আমি
খুঁজে বেড়াচ্ছি দুইয়ে দুইয়ে পাঁচের গল্প.. বা দেখি
একলাফে কিছু বেশী অঙ্ক ডিঙিয়ে যাওয়ার
সাপ সিঁড়ি খেলার নিরলস প্রচেষ্টায় মত্ত
বহুলোক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আশেপাশে….!
দাবার চাল, ধর্ম আর নারী বুঝিনি কোনোকালেই..,
মাত খেয়ে খেয়ে মাতোয়ারা আমি
মাতাল নিজে নিজেই…!
এখনো ন্যাংটো গাছের আধভাঙ্গা ডালে,
এক বক পাখীর নদীর পাড়ে ঠায় একপায়ে
দাঁড়িয়ে মাছ খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা ছেড়ে
চুপ করে নিজের বুকে মুখ গুঁজে
বসে থাকতে দেখলে মনটা ডুকরে ওঠে আজো!
ভাবি মাতাল হলে আবেগ বেশী হয় বোধহয়
সত্যি গুলো অনর্গল ছোট্ট শিশুর মতো
কলকল বেরিয়ে যায়…
তবু ঝোপঝাড় আর কাঁটায় ঘেরা, পলেস্তারা খসা
সবুজ শ্যাওলা ধরা সিঁড়ি বেয়ে
নির্জন, বুক হু- হু করা, নাম না জানা,
লম্বা ঘাস বের হওয়া ছাতে দাঁড়ালে
আবছা অস্পষ্ট নিজের ভবিষ্যৎ দেখতে পাই….
কোলাহল শোনা যায় বতর্মানের…
কান পেতে গুমরে ওঠা অতীতের
ফোঁপানো শুনি…
আর দুর্বোধ্য, জমাট বাঁধা বরফ- সময়’কে
দু’ হাতের শক্ত মুঠোয় চেপে রাখার চেষ্টা করি..
সময় কখন যে আঙুল গলে
প্রেম আর ধর্মের চোখে
জল হ’য়ে ঝরে গেছে টের পাইনি….!!!
সেরার খেতাবে ভূষিত সমস্ত কবিবন্ধুদের আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা। বসন্তের বিকশিত বনফুলের সহিত চঞ্চল হয়ে উঠুক আপনাদের কলম ফিঙে পাখির চঞ্চুর মত। ফাল্গুনের চলন্ত পথিকদের হৃদয় কে যেন স্পর্শ করে যায়।