হিংসায় পরম ধর্ম
সুবর্ণা ভট্টাচার্য্য
ধরণি আজ ভরে উঠেছে…
অজাচার পঙ্কিলতা আর কদর্যতায়।
সমগ্র অবনি যেনো আজ ভরে উঠেছে…
অবিচার,জোর-জুলুম,অত্যাচার আর নির্মমতায়।
প্রেম ও মৈত্রীর বন্ধন,
বিশ্বাস আর ভালোবাসাকে উপেক্ষা করে,
পৃথিবীতে যেনো আজ পেয়ে গেলো স্থান,
স্বেচ্ছাচার,হিংসা-বিদ্বেষ আর অশান্তি।
আরোও স্থান পেয়েছে,
স্বার্থ চিন্তার বেড়াজালে…
মানবমনের সংকীর্ণতার প্রতিচ্ছবি।
এ কেমন বাতাবরণ?
রোজ কাগজের পাতায় পাতায়,
হত্যা,মারামারি,ধর্ষণ আর লুঠপাটের খবর ছাপায়।
সর্বত্র হিংসা ছড়ায়।
অসৎ লোক দাপিয়ে বেড়ায়,
সৎ লোক নীরবে হারায়!
সৃষ্টিকর্তা আজ আছেন কোথায়?
পাঠশালায় না কি বন্দিশালায়!
অন্ধকারে না কি কাঠগরায়!
অন্তরে না কি মন্দিরে!
রাজপ্রাসাদে না কি মসজিদে!
কে রেখেছে তার খবর?
ধর্ম আজ কোথায় তবে…!
মনুষ্যত্ব আজ ঘুমিয়ে কেনো?
ধর্মের নামে অধর্ম চলে,
লোক ঠকানোর ধান্ধা করে,
প্রকাশ্য কিংবা অন্তরালে।
নীরব থাকলে বোবা বলে,
প্রতিবাদ করলে বন্দুক ঠুকে,
হিংসা-বিদ্বেষের বেড়াজালে অধর্ম রোজ জেগে ওঠে।
আসল সত্যে ঘুমিয়ে থেকে…
মিথ্যাকে রোজ জাগিয়ে রাখে।
নিরপরাধকে শাস্তি দিয়ে,
অপরাধীকে মাথায় রাখে।
এ কী তবে মনুষ্যত্ব?
তুমিও মানুষ আমিও মানুষ,
মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব ছিল সুপ্ত,
কী হেন অভিশাপে আজ মনুষ্যত্ব হচ্ছে বিলুপ্ত!
মানি কিংবা না মানি!
যে ধর্মে বিভেদ বাড়ায়,
হৃদয়ে হিংসার অগ্নিশিখা জ্বালায়,
প্রাণে প্রাণে বিদ্বেষের ভাব জাগায়,
আজ পৃথিবীতে আছে বেঁচে
একমাত্র এই সেই ধর্ম,
একবাক্যে তা বলে যায়…
“অহিংসা নয়; হিংসায় আজ পরম ধর্ম।”