মনুষ্যত্বের দুই সত্ত্বা
নাসরীণ জাহান রীণা
মনুষ্যত্বের দু’টি সত্ত্বা বিরাজমান,
একটিতো দোষে ভরা ; অপরটি গুণবান।
হাঁটে আলোর পথে ;
ভালো গুণের রথে।
সত্যনিষ্ঠা,সততা,ন্যায়পরায়নতা,
শিষ্টাচার, উদারতা, ধার্মিকতা,
আরো দায়িত্ববোধ,সামাজিকতা।
মানুষকে প্রকাশে রূপে সজ্জন,
জ্যোতিতে ঝলমল আদল ও মন।
অন্তরে বাস হলে উপরোক্ত গুন,
রহমত বর্ষে সেথা আল্লাহ্ মালিকুন।
আবার উল্টোরথেও হাঁটে-
মন্দ-দোষের পা চাটে –
অহংকার, হিংসা-বিদ্বেষ,জুলুম, কপটতা,
অত্যাচার,নির্যাতন,অন্যায়,
অসভ্যতা,
কার্পণ্য, লোভ-লালসা,অনাচার,উগ্রতা-
মনুষ্য অন্তরে যখন দাপিয়ে বেড়ায়,
তখনই মনুষ্যজাতি পশুতে রূপ নেয়।
দুই সত্ত্বা পুরে আল্লাহ্ দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন,
আবার ভালো-মন্দ বুঝার জন্য বিবেক দিয়েছেন।
পথের দিশা দিতে মা’বুদ রাসূল প্রেরণ করেছেন।
শাককুস সদর হয়নি মোদের নবীজীর যা হলো,
পবিত্র ও শুদ্ধবক্ষে মহান জীবন পেলো।
ফেরেশতা এসে করলো হৃদয় উন্মোচন,
কালো বস্তুর অপসারণে বক্ষবিদারণ।
কালোরক্ত আছে বলেই অপকর্মের স্বভাব,
সুযোগে মনুষ্য চরিত্রে ঘটে মন্দের প্রাদূর্ভাব।
তবু ‘কোরআন ‘ আর রাসূলের জীবন থেকে নিতে হবে দীক্ষা,
অনুগ্রহকারী আর পথভ্রষ্টদের জীবন থেকে পেতে পারে শিক্ষা।