জারজ অভিজ্ঞান
বিকাশ চন্দ
মেঘ ছুঁয়ে দেখি আঙুলের ফাঁকে বৃষ্টি—
ভেজা ফুলেদের গায়ে বিন্দু আত্মরতি সুখ,
চিরকাল কালো মেঘ চেরে জীবনের যত স্বপ্ন—-
রক্ত দোহন বোঝে আমাদের সুকুমার আত্মগত প্রাণ।
মরণের সাথে জ্বলনের আলোর স্তব্ধ অন্ধকার,
ক্ষুধিত সময় আখর কথা গিলেছি বারংবার—-
এ ভাবেই ডাঁয়ে বাঁয়ে শুয়ে আছে আমার কঙ্কাল
কারণ জাত গোত্র অরণ্য নগর বিনীত অহংকাল।
ব্রজবুলি আর সামগীতি জানে অচেনা বৃহন্নলা—
কেমন অঙ্গ গোপন ঘরে কী রূপ জানাতেই হবে,
গণ জাদুকর জেনেছে পোঁতা হবে বিষবৃক্ষ বীজ
চরম লজ্জায় হাত রেখে দেখা চাই উষ্ণ শোণিত পাত।
অদৃশ্য সব কাম্য পৌরুষ জানে নীলকণ্ঠ ক্রোধ—-
বুকের রক্তে দুধে জলে নিভৃতে জাগে মাতৃত্বের ঘ্রাণ,
হিসেবের কাগজে কালি কলমে হায় বিষণ্ণ রোমন্থন—
আকাশের তলায় আলোর নীলে জারজ অভিজ্ঞান।