পরীর খেলা
মনীষা কর বাগচী
দিনের শেষে সন্ধ্যা নামে
ঘরের কোণে আঁধার থামে।
আকাশ ভরা তারার হাসি
রাতের গায়ে আলোর রাশি।
পাতার ফাঁকে লুকিয়ে মুখ
ইন্দু বাবু পাচ্ছে সুখ।
খোকন সোনা ধরবে চাঁদ
জোনাকি ভাই পেতেছে ফাঁদ।
খুকির চোখে নেইরে ঘুম
পরীরা সব করছে ধুম।
খেলব কবে বল?
মনীষা কর বাগচী
বল দেখি মা তোর উপরে কে করেছে ভর?
সারাটাদিন আমায় কেন বলতে থাকিস পড়?
রোজ কেন মা স্কুলেতে যেতে আমায় হবে
বল দেখি তুই তাহলে খেলব আমি কবে?
মালতীর মা বলে না তো স্কুলে যাবি চল
সারাদিন সে গোবর কুড়ায় , ঘড়ায় আনে জল।
যখন খুশি খেলতে পারে নেইকো ভয়ডর
এক দৌড়ে ঘুরে আসে অচিন তেপান্তর।
গোছা গোছা ফুল তুলে সে সাজায় খেলা ঘর
পুতুলমেয়ের বিয়ে দিতে খুঁজে আনে বর।
আমারও মা মন করে খুব ঘুরি এ মাঠ ও মাঠ
তুই তাহলে ডাকিসনা মা বলিসনা বালাই শাট।
তোর মেয়ে মা হয়েছে বড় ছোট্টটি নেই আর
দুদিন পরে বিয়ে হবে বর আসবে তার।
কাঁদবি তখন বসে বসে করবি হাহুতাশ
খেলতে যদি দিস মা তবে ছাড়বো না এ আবাস
যাবো না তো শ্বশুর বাড়ি
ছেড়ে তোমায় একা
চলে গেলে কোথায় তুমি পাবে আমার দেখা?