মহা আতঙ্কের পরীক্ষা
সুবর্ণা ভট্টাচার্য্য
পরীক্ষা ওরে পরীক্ষা!
বছরখানিক কেটে যেতে,
হাজির তোমার বেলা।
রুটিন দিল,
পড়ল মাথায় বাজ।
মনের তাড়া দিচ্ছে সাড়া,
পড়ছি যে তাই সাঁঝের বেলা।
সারাদিন শুধু পড়া আর পড়া,
পড়া তো নয় যেন যুদ্ধে লড়া।
আসবে এটা,আসবে ওটা;
অফুরন্ত বইয়ের পড়া।
মানে-মানে কেটে গেলেই প্রাণে সবার বাঁচা।
পরীক্ষা তুমি জীবনের বড়ো খেলা,
আতঙ্কে! ভুলেছি তাই সব নাওয়াখাওয়া।
সকাল-বিকাল ভাবনা এখন,
এত পড়া পড়ব কখন?
সারাবছর দিয়েছি ফাঁকি তাইতো সর্বনাশ!
কেউ পড়ে সরবে,কেউ পড়ে নীরবে,
পড়ছে কেউ হেলেদুলে,
কেউবা আবার নির্ঘুম রাত জেগে,
আমিও পড়ি নড়েচড়ে।
পরীক্ষার পূর্বের রাতে;
সভা হয় রুমে রুমে…
জনে জনে…
বাজলে দু’ঘন্টা ‘একাডেমিক ভবনে’;
দেখা হবে বারান্দায়,
কথা হবে হাতের ইশারায়,
কে কার ভরসায়, ঢুকবে হলে প্রত্যাশায়,
কার সিট সামনে, কার সিট পিছনে
আগে পিছে মারবে কে কখন উকি!
কী যে হবে ভেবে মরে, ভয়ে ভয়ে বাড়ে ঝুঁকি।
ওরে যদু,ওরে মধু,
তোরা আমার আশা
তা-ই রাখি মনে এত ভরসা!
পাশ করলে খাবি আর খাবি;
চিকেন-মার্টন-রুটি
মন ভরে,পেট পুরে
এটা বলে রাখি।
খোলা জানালায় আঙুলের ইশারায়;
তুলে তর্জনি বলবি কেউ,
১ এর ক, মধ্যমাতে খ,
অনামিকাতে গ, ও কনিষ্ঠাতে ঘ…,
এইভাবে উত্তর ছুড়াছুড়ি করবে জনে জনে…
কথা বলব ফিসফিসিয়ে,
লিখব খাতায় হনহনিয়ে…!
পরীক্ষা নিয়ে শত কল্পনা,
রুমে বসে করি কত পরিকল্পনা।
পাশ করা চাই এই ভাবনা এখন মাথায়,
সোজা-কঠিন প্রশ্ন নিয়ে থাকি দুশ্চিন্তায়।
যেতে যেতে পথে তাই বইটি পড়া চাই।
এই পরীক্ষা,সেই পরীক্ষা; পরীক্ষার নাই শেষ।
পরীক্ষা হঠাৎ পিছিয়ে গেলে আনন্দ হয় বেশ।