“ভেন্টিলেশন”কবিতাটি লিখেছেন সাহিত্যের অন্যতম সারথি নীলিমা শামীম।

500
“ভেন্টিলেশন”কবিতাটি লিখেছেন সাহিত্যের অন্যতম সারথি নীলিমা শামীম।

ভেন্টিলেশন

          নীলিমা শামীম

লোমহর্ষক কথপোকথন
প্লিজ আহা প্লিজ বাড়িয়ে দাওনা
শেষ চেষ্টা অব্যাহত রাখো
আমি বাচতে চাই প্রিয়..৷
আমাকে ছেড়ে যেওনা তুমি,,,
অবজ্ঞা করে এভাবে ফেলে যেওনা
কত শ্রম, কত ভালোবাসা দিয়ে আগলে রেখেছি
তোমার সকল ভালোমন্দকে নীরব নিস্তব্ধতায়।
শ্বাস প্রশ্বাসে বিষ,,,৷ কষ্ট হচ্ছে কই,,৷
বাবাই তুমি আমার নারী ছেড়া ধন
কই বাবাই, এসো আল্লাহ এতো নিষ্টুর নয়
তোমাদের কিছুই হবেনা বাবাই এসো হাত স্পর্শ করো
ছেলে ও বাবার প্রস্থান আই সি ইউ থেকে
চারিদিক নীরব, ভালোবাসার মানুষগুলো শুন্য
জীবনের পুরো সময় দেয়া লোকগুলো অদৃশ্য আজ
কত অপেক্ষা চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে
নেই মুছে ফেলার কেহ।
অতি আদরের সন্তান, প্রিয় থেকেও প্রিয়জন
হে,, আল্লাহ রহম করো আল্লাহ কত আর ক্রন্দন
শুনিতে হবে।
সন্তান দূরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে হয়তো
শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার।
স্বামী বাইরে অবস্থান করে আছে সূযোগের ফেলে পালানোর, সারাজীবনের সঙ্গী স্বামী স্ত্রী–
আহারে আজ ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি।
কিন্তু ছোট্ট কাজের মেয়েটি অপেক্ষায় কখন জ্ঞান ফিরে ম্যাম কিছু চাইবে এই আশায় দাড়িয়ে।
ফ্যালফ্যাল করে চারিদিক চক্ষু বুলিয়ে নিতেই
মেয়েটি বললো মামানি কিছু দিতে হবে?
শক্তিহীন নিথর দেহ, নীরব নিস্তব্ধ শরীর ও হাত-পা বেঁধে রাখা দুই তৃতীয় অংশ কি ই বা চাইতে পারে?
প্রচন্ড ব্যাথা-বেদনা কঠিন খিচুনি ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল
আশপাশে শুধু আহাজারি আত্মীয় স্বজনের।
লাশের সারিতে গন্ধ ছড়াতেও কুন্টা তাইতো
হাত পায়ে ঝিনঝিন করছে, পা কাপছে থরথর।
এই বুঝি সব খুলে দিয়ে মৃত্যু ঘোষণা দেয় ডিউটি নার্স।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here