কুঁড়ে ঘরে নাটমন্দিরে
বিকাশ চন্দ
এখন মরণ প্রহরে দাঁড়িয়ে অহেতুক কপটতা
কী প্রয়োজন খুঁড়ে ফেলা সচেতন সময়ের দরজা,
বহুবার প্রত্যাখ্যাত তবুও ফিরেছি নির্মাণ প্রার্থনায়।
পাথর কী পাষান জানে না ঝুলে আছে মৃত্যু ফলক —
হাৎড়ে ফিরি সবুজ বাগিচা প্রজাপতির পরাগ পূজা
ঘুমের ভেতরে ও শুনি পাখির ডাক ঝর্ণার জল অবিরল।
কতবার খুঁজে ফিরেছি প্রাণের লালন একতারা—
বহুধা গানের ভেতরে শব্দেরা প্রাণ পেয়ে পাখি হয়ে যায়,
দোয়েল পাপিয়া কোয়েল ডাকে বাঁশি সুরে
প্রেম রসিকা পায়ের নূপুরে তোলে দ্রুত লয়ে তাল—
কোন কপটতা নেই বলে ব্যাভিচারি জঙ্গলে লুকায়
কেবল কস্তুরি হরিণ একাই মাতাল মৃগনাভি শ্বাসে।
এখন আকাশে মেঘের মাদল বাজলে বৃষ্টি তোলে সুর
প্রকৃতি বাসনার মায়া জাল ছিঁড়ে খোলা হাওয়া দরজায়,
হঠাৎই অজানা সুরেও দুলে ওঠে শরীর বিনোদিনী—
নূপুরের দ্রুত লয় শরীরময় শূন্যে বাঁধে আলোর বিনুনি,
অন্তরে পরশু ছিল চাঁদের সে লজ্জা কাতর কলঙ্ক সব—
কাল ও পুড়ে ছিলাম একত্রে মনের মানুষ তখন ঘরে
আজও তোমার মণ্ডপে পূজোর আয়োজন—
কুঁড়ে ঘরের নাট মন্দিরে।