সমর্পণের সেকাল একাল
সোনালী মিত্র
আজ আমি তোমার কাছে নিজেকে সমর্পণ করলাম। আমার চাতক বুকে তোমার ভালবাসার অজস্রধারা নেমে আসুক। আমি তৃষ্ণার্ত। তোমার করুন কৃপার সলিলধারা আমাকে উজ্জীবিত করে তোলে, আমি দিশাহারা হই। তোমার আমার সম্মিলিত চলায় পৃথিবীর বুকে জন্ম নেয় এক এক করে প্রাণের সঞ্চার। সেজে ওঠে বনরাশি;শষ্য শ্যামলার মাঠ। চারিদিকে বিজয়ধ্বনি….তুমি কি শুনতে পাচ্ছো হে বারি রাশি?আমরা কেমন জাগিয়েছি দেখো দেখো, মানুষের জীবন আজ আমাদের কাছে এসেছে ওদের চাহিদা নিয়ে। ঐ যে ওদের স্বপ্নগুলো দেখো কেমন ঘুরে বেড়াচ্ছে আলবেয়ে ধানের শিষে আনাজের সবুজে।
বিস্তীর্ণ করা আমার শরীর আর তোমার করুণাধারা ওদের চোখে সুখের বাসা। একদিন এই সমাজের মানুষের নিম্ন অন্তঃকরণ আমরা হয়েছি দাবার ঘুটি। কিন্তু পেরেছি কি ওরা তোমার আর আমার অপূর্ণতায় পূর্ণ হতে?
আমরা জানি না সেই লালসার রাজনীতি আমরা জানি না হিংসার বুলি—দুহাত দিয়ে ওদের জীবনকে করে তুলেছি মহাজাগতিক সৃষ্টি।
আমাদের দুজনের ভালবাসার সহবাস ধরনী পূর্ণ হয়।
মানুষের অসংযমী মন বার বার আমাদের দুজনের জীবনে এক হিংসার ফসল ফলাতে চেয়েছে। পারেনি তো; আমরা যে একে অপরের পরিপূরক.. পারবে কি করে!
ছেড়ে দাও ওদের কথা। চলো আমরা এগিয়ে চলি, আমার শরীরের আনাচে কানাচে আজ জেগে উঠেছে মানুষের স্বপ্নজীবন, শহর নগর গ্রাম গোটা একটা দেশ। ওরা ওদের মতন করে ভাগ করে নিয়েছে। দেখতে পাচ্ছো আমার বুকের ভিতর দিয়ে ঐযে নদীটি বয়ে চলেছে সেখানে তোমার হাত ধরে ওদের সেচধারা আমাকে ভিজিয়ে দিচ্ছে আমি সাজিয়ে তুলছি চাষির স্বপ্ন মানুষের জীবিকা।
আমার মধ্য তোমার সঞ্চার আর তোমার স্পর্শে আমি গভীর জীবনের আস্বাদ নিচ্ছি। এসো আমরা দুজনে মিলে এই বিশ্বসংসারে পূর্ণতার রাজপ্রাসাদ গড়ি, ওরা যা ভাবে ভাবুক; আমরা শুধু এগিয়ে চলি এই পৃথিবীর সু-সজ্জিত শিবিকায়।
‘সমর্পণের সেকাল একাল’ পড়ে মুগ্ধতা জানাচ্ছি। পরিপূর্ণ সমর্পণে, সহজ মেলবন্ধনে প্রকাশ মায়াবী হয়ে ওঠে। একটা আবেশ ফুটে ওঠে লেখায়। একটা ঝিমধরা ভাব, একটা সৃজনের নেশা ফুটেওঠে রচনায়।