নিস্তরঙ্গ জীবন—
সঞ্জয় কুমার কর্মকার
নিঝুম আলোড়নে দৃপ্ত আরাধনা, বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবনটা যেন রোমহর্ষক বিয়োগান্ত…
আজীবন আদ্যন্ত সর্ব শক্তি দিয়ে মনের ইচ্ছায় কী অপরিমেয় পরিশ্রম….
তবুও যেন মানুষের বুকে হাহাকার, জীবনটা যেন সত্যিই শোকে শোকেই মূহ্যমান।
নির্বাক সন্ধিক্ষণে নির্জনতায় এখন শুধু ধু ধু প্রান্তর জুড়ে প্রকৃতির অনুতাপ ও যেন গুমরে গুমরে শিউরে উঠে।
এই রিক্ত প্রান্তরে নেই আর জাজ্বল্যমান প্রতিচ্ছবি, অশান্ত দাপটে রৌদ্রের আলিঙ্গনে কিঞ্চিত ভাবে শান্ত হয়ে থাকি।
জীবনটা যেন মহাযুদ্ধ, ধৈর্যের আগমনে আত্মমর্যাদা সততা সন্মান অনুভূতির বন্ধনগুলি এখন অদৃশ্য হয়ে গেছে…
চারিপাশে কতোই পক্ষী কূজন, বৈচিত্র্যময় রৌদ্রের সীমানা ছাড়িয়ে দীপ্তিতে তবুও হেসে উঠে প্রকৃতির অপূর্ব মাধুরিমা…
ভাবনাজুড়ে নিরন্তর শ্রদ্ধা, ভালোবাসার অনবদ্য স্পর্শগুলো যেন ভীষণ তীব্র, চিন্তার ব্যপ্তিতে শিল্পিত জ্ঞান,
জীবনযাত্রার মানগুলোকে প্রাচীন প্রবাদের মতোন অনবদ্য ক্যানভাসে সাজিয়ে রাখি।
নির্জনতার সুপ্ত আশাগুলো যেন ডুব দিয়ে যায়,
থমথমে রাত্রির কোলাহলে আলোর মিশেলে যেন বইছে হিমেল হাওয়া,
অরূপ রতনে মুঠোয় ভরা মুহুর্তগুলো যেন বড়ই দুর্লভ ছিলো…
লাস্যময়ী রূপে প্রকৃতি যেন এখন চির বিরাজমান,
ভালোলাগার রেশে এখন শুধু স্বস্তিতে শিশিরের বিন্দুগুলিকে স্পর্শ করে যায়।
চিএকরের মতন অপরূপ চিত্র প্রদর্শনে বিনম্রতায় উজ্জীবিত করে তোলে,
এখন শুধু মঙ্গলসূচক সদ্যবিদায়ী ঋতুগুলোকে স্মরণ করে যায়।
অনবরত সৌহার্দের জীবন ছায়ায় নিবিড়ভাবে স্পষ্টরূপে আকৃষ্ট হয়ে থাকি…
নিস্তরঙ্গ জীবন,সুরে সুরে মজ্জার লুকোনো হাসি,
রঙিন ডানার পাখনা মেলে আলোছায়াদের অপূর্ব খেলায় মত্ত হয়ে থাকি।।