বিপ্লবী চে তোমার উদ্দেশ্যে
—– আরশ মালিথা
চেগুয়েভারা, বিপ্লবী বন্ধু আমার –
হ্যাঁ তোমাকে বলছি।
বন্ধু বললাম, রাগ করলে?
তুমিতো আমাকে চেন না।
আর চিনবেই বা কি করে!
তোমার বিপ্লবী জীবনে –
আমাকে তো তুমি দেখনি।
কিন্তু আমি অনুভব করেছি তোমাকে।
তোমার বিপ্লব কে, তোমার হার না মানা-
মহাসংগ্রামী জীবনকে।
তোমার সংগ্রাম আমার কাছে মনে হয়েছে,
এক মা তার ছোট্ট অবলা শিশুকে বুকে
আগলে রাখার মতই।
যেমন তুমি রেখেছিলে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে,
পৃথিবীর শোষিত-বঞ্চিত মানুষকে বুকে আগলে।
তোমার স্পষ্টবাদী কথা, বঞ্চিতের অধিকার আদায়ে-
জীবনকে বাজি ধরা,
যেন এক প্রতিবাদীকে তার শত্রুর বুলেটের সামনে দাড়ানোর মতোই।
কিন্তু তোমাকে তো সেই সকল নরঘাতকের দল
যারা ছিল শোষিতের শোষক।
নিস্তব্ধ করে দিয়েছে মাত্র কয়েকটি বুলেটের আঘাতে।
কিন্তু তোমার রক্তস্রোতকে তো তারা,
নিস্তব্ধ করতে পারেনি!
তোমার প্রতি ফোটা রক্ত বিন্দু থেকে-
সৃষ্টি হয়েছে এক এক নয় কোটি কোটি বিপ্লবী প্রাণ।
যারা তোমার স্বপ্নকে আজ সত্যিতে পরিণত করতে যাচ্ছে
তাদের শিরা-উপশিরায় রয়েছে তোমার বিপ্লবের ছাপ।
তোমার চেতনাকে বুকে নিয়ে বুক প্রসারিত করে,
তারা সাম্রাজ্যবাদের শিকড়কে উপড়ে দিচ্ছে,
তাদের প্রতিবাদী কন্ঠে।
এখন হয়তোবা তুমি, আসমানের স্নিগ্ধ চাঁদের আড়ালে,
দাড়িয়ে হালকা অশ্রুতে,
দু’নয়ন ভিজিয়ে মুচকি হাসছো।
আর সেসকল বিপ্লবী বন্ধুদের জন্য ঈশ্বরের কাছে,
প্রাণ খুলে আশীর্বাদ করছ।
আমিতো তোমার বন্ধু হতে চেয়েছি।
হয়তোবা তুমিও আমার বন্ধু হবে।
তাইতো তুমি চাঁদের আলোয় তোমার,
বিপ্লবী রশ্মি ছড়িয়ে দিয়েছ আমার জন্যে।
ধন্যবাদ তোমাকে বন্ধু,
সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে আমার বিপ্লব,
আমার হৃদয়কে তোমার হৃদয়ে মিলিত করেছে।
আর যদি এই বিপ্লবের কারণে তাদের বিষাক্ত বুলেট
আমার বুকে এসে গেঁথে যায়,
তবে শীঘ্রই তোমার এই অপরিচিত বন্ধুর সাথে,
তোমার দেখা হচ্ছে।
বিদায় বন্ধু, বিদায়।
স্যালুট তোমাকে,স্যালুট তোমার বিপ্লবী চেতনাকে।