প্রিয় নিরুদ্দেশের চিঠি
বিকাশ চন্দ
নিরাসক্ত সময়ে ছিঁড়ে নিচ্ছিল সপুষ্ট বুকের অক্ষর—
হতেই পারেন তিনি মস্ত বুদ্ধিজীবী মতলববাজ লুব্ধক,
কোন সাধনায় মিলে যায় বুদ্ধি ভ্রষ্ট কিছু নম্র প্রাণ,
তুমি কি নীলকান্ত মণি হে পেতেই হবে সাথে মোহিনী—
প্রণয়ের কি অভিধান শেখাও দ্যাখো প্যাপিরাস যুগ,
আসলে তো প্রেম ছিলো না লুটতরাজ অস্থির মন্দ সুখ।
আলোর আড়ালে ছায়া পুণ্যবতী মৃদুলা ভাস্বতী কোন নাম
কত নিষ্ঠায় বিনিময় হৃদয় আধারে গানের কলি,
হাসনুহানার গন্ধে পাগল ব্যাস্ত বিষধরী—
বিশ্বাসে তুলে দিয়েছি অবিনশ্বর হৃদয় পশরা,
এর চেয়ে অমূল্য কিছু ছিল না জেনেও নীরবতা—
বিশ্বাসে বিষে কি তুমুল সখ্যতা জানেকি সবুজ পাতা ফুল।
আপাদমস্তক ছড়িয়ে আছে লতাপাতা শিরা উপশিরা
ছুঁয়ে আছে শ্বাসের শব্দে ক্লোরোফিল ফেলে আসে শ্বাসবায়ু,
ত্যাগের মহিমা খুঁজে একটা জীবন যেতে পারে কতদূর—
কত মুখ কত চোখ হিসেব বিহীন কোথায় থমকে দৃষ্টি,
এ ভাবেই দগ্ধ শরীরের রক্ত ছড়ানো কত না স্বরের ইঙ্গিত—
রক্তাক্ষরা সময়ে সমস্ত নিষেধ ছিঁড়ে ওড়ে প্রিয় নিরুদ্দেশের চিঠি।