জোয়ারে।
রত্নপ্রভাগাঙ্গুলী।
দীপশিখার এক টুকরো আলো খিড়কির পাশে,
দেবগুরুর সাথে ঘুরঘুর করছিল পিছে পিছে।
বারান্দায় দেবমন্দিরে পায়চারীতে জপিত মালায়,
হঠাৎ উচ্চকন্ঠ স্বরে চেঁচিয়ে উঠেন,
কেন চঞ্চল দোলায়।
অগ্নির উষ্ণতার এক ফালি কম্পিত আলো,
যেন পিছু মোর ছায়াদেহে চলো।
দেহজ থেকে সঙ্গী হয়েছে প্রদর্শক,
জীবন্ত মানবের আলোক বাহক।
ঐ শোন কাছা কাছি ই কর্ণে ভেসে আসে হাঁসি কান্নার রোল,
হয়তো নবচেতকের উচ্ছাসে আর চিতায় ধ্বনিত বোল।
যে দীক্ষা টুকুন খোদানো দেব গৃহে,
মন্দির মসজিদ গীর্জা গুরুদোয়ারে।
প্রদীপের ফালি ফালি আলেয়ার শিখা মানব শিরে,
আসমানে চাঁদের জ্যোৎস্না মাখো শুভ্রতা চাদরে ।
এক চিলতে ভাগাভাগি আঁধারি আলেয়ায়,
নিরর্গল স্বপ্ন ঘোরে পূর্নিমা নিশিদিশিতায়।
কখনো দৃশ্যতায় দেখেছো তুমি পাথর গাত্রে,
কে চরণ ছুঁয়েছে তোমার ,ঠুকছে কপাট দিবা রাত্রে।
প্রাণময় ছুটছে জীবন চলন্ত ঢেউ সাগরে,
এই দোলনা প্রদীপ্ত নিভিয়ে দাও যে একবার ভাসিয়ে জোয়ারে।
*************************