যুদ্ধের ইতিহাস
মেহবুবা হক রুমা
যে যুদ্ধ দেখেনি সে কি অনুভব করতে পারে যুদ্ধ কি?
সে কিভাবে লিখবেন যুদ্ধের ইতিহাস!
সে শুধু জানে বাবা এক স্থির ছবি।
প্রতিদিন একলা মায়ের জীবন যুদ্ধ।
কোন একটা পথের নাম তার বাবার নামে।
এ পথে দাঁড়িয়ে বাবা বলে চিৎকার করে ওঠে বুকের ভেতরে নিরব কান্না।
এক পাগলিনী সে নাকি বীরাঙ্গনা।
তার সাথে কি ঘটেছিল ?
যে সে আর কথাই বলে না।
যে যুদ্ধ দেখেনি সে তো বীরাঙ্গনা দেখেছে।
হুইল চেয়ারে বসে থাকা পা হীন মুক্তিযোদ্ধাদের তো দেখেছে।
একাত্তরের চিঠি সে পড়েছিল একদিন।
কেন এতো কেঁদেছিল?
চিঠির মানুষ গুলো তো চেনা ছিল না।
এরপরো কেন মনে হয়েছিল বুকের ভেতরে মানুষ গুলো বেঁচে থেকে আর্তনাদ করে।
বাতাসে পতাকা ওড়ে মাটির বুকে পোতা থাকে খুঁটি।
এ মাটিতে যখন নতুন করে বক্ত ঝরে।
কেন সেই শহীদদের কথা মনে পড়ে!
লজ্জায় মুখ ঢাকতে হয় কেননা যে যুদ্ধ
দেখেনি তার এ যুদ্ধে পাওয়া দেশে অন্যায় সয়েযেতে লজ্জা হয়!
যে যুদ্ধ দেখেনি সেতো যে যুদ্ধ করেছে তাকে তো দেখেছে।
গুলির শব্দ শোনা হয়নি।
হাহাকারের সুরে সে শুনেছে এই জন্য কি
দেশ স্বাধীন করেছিলাম?
এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার পালা চলে চলবে
যে যুদ্ধ দেখেনি সে ভাবে সে কি লিখবে?
যুদ্ধের ইতিহাস!
নাকি দেশের নতুন পথে কুড়িয়ে পাওয়া পরিহাস!
নতুন করে লিখবে নতুন লাশের হিসাব।
যে যুদ্ধ দেখেনি সে কিভাবে লিখবে যুদ্ধের ইতিহাস!!