আর্তনাদ
——–আরশ মালিথা
“বাবা আমি বাঁচতে চাই!”
শিশুটি বাঁচেনি!
বোমার আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত তার শরীর।
কংক্রিটের ধূলোয় গা জড়িয়ে উলঙ্গ মানবতাকে বার বার প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
নিথর দেহ থেকে বাবার কাছে হয়তো তার করুন আর্তনাদ আসছে।
হয়তো বাবার কাছে আবার বলছে –
বাবা আমার খুব কষ্ট হচ্ছে!
বাবা কি তা শুনতে পারছে?
হয়তো পারছে!
নিথর দেহটা বাবা কোলে নিয়ে আকাশের
দিকে তুলে হুঙ্কার দিয়ে কাঁদলো।
সেই হুঙ্কার সাত আসমান পেরিয়ে খোদার আরশ কাঁপালো!
কাঁপলো না শুধু মানুষ রূপী জানোয়ারদের বুক!
কারণ ওদের কান বধির,
চোখে বিষাক্ত অভিশাপ।
তবুও কি আশ্চর্য বাবা এখনো বেঁচে আছেন!
বাবারা তো বেঁচে থাকবেই।
থাকতেই হবে তাদের!
সবুজ প্রান্তরকে যারা কংক্রিটের ধূলোয় মিশিয়ে দিয়েছে!
যারা তার ওপর শিশু আর নিরীহ মানুষের রক্ত দিয়ে এঁকেছে পিতাহীন কলঙ্কিত মানচিত্র!
একদিন ঐ মানচিত্রকে এক লহমায় মিশিয়ে দিবে হুঙ্কাররত পিতারা!
মানচিত্র তখন পাবে নতুন সজীবতা।
পাখির কলরবে মূখর থাকবে পবিত্র ভূৃমি।
গাছে গাছে বাসন্তী হাওয়া।
বাতাসে এক অদ্ভুত নির্মলতা।
তখন পিতারা যেই শিশুদের হারিয়ে ফেলেছে!
রক্তাক্ত আঁধারে।
ওরা আসবে সবুজ পাতার রঙ হয়ে।
গাছে গাছে ফুল ফুটে।
বাতাসের হিমেল নির্মলতা নিয়ে।
ওরা আবার আসবে বাবার কোলে ফিরে।