“তিথির কান্না”আবেগের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশের এক ভিন্নমাত্রার কবিতা লিখেছে তারুণ্যের কবি নীলা আলম।

1370

তিথির কান্না

                  নীলা আলম

~~~~~~
প্রিয় তিথি,
এই নাম বদলের খেলা আমাকে ভীষণ ভাবে চমকে দেয়,ভাবি! আমি না সত্যি সত্যি তিথি হয়ে যাই….
নিশ্চয়ই হাসছিস?
শুদূরে ঐ কানাডার মাটিতে
বেশ ভালোই বোধহয় আছিস,আমিও খারাপ আছি বলবনা….
শুধু ঐ যা, ঠিক বুজতে পারিনা নিজেকে…..
বড্ড এলোমেলো….
যদি ফের আসিস এই বাংলায়,
তবে একবার ঐ মানুষটাকে দেখে নিস কেমন আছে সে….
কেমন করে তিথি নামের ঝংকারে সে মাতন্ড করছে,
কি পেলো সে?
তোর কি কিছুই মনে নেই,
জানিস কি কিছু?

আমিও জানিনা বা জানতে চাইনা কারো মনের গোপন,
আমার শহরে আমি এক পরিপাটি নারী…
আমার কোন ইচ্ছে নাই বা থাকে না,
জানিস তিথি?
একেকটা সময় ভাবি, আমি না তুই হয়ে যাই…
তবে যে মানুষটার কষ্ট আরো দ্বিগুণ হবে….
সেও আবার এই আমার কারনে….,সেকি! সইবে বল?
অবশ্য তোর কি তাতে যায় আসে….
শুনেছি তুইও নাকি ওমন একলা একা করে পথে ফেলে চলে গেছিস…..
পিছু ফিরবার তাড়া ছিল না একটি বারও….
আমি কি বোকা এই মধ্যরাতে সেই তোকেই ভাবছি আর মিলাচ্ছি হিসেব
সেই মানুষটার না পাওয়ার তীব্র হাহাকার…..
তবুও মানুষটা তোকেই হয়তো চায়…..
ভালোবাসে যে এখনো
প্রত্যাশা করে তোর মঙ্গল কামনায়…
সেকি ভাগ্য তোর….
তুই বড় গুনো বটে
ভুল নামে ডাকেনি সে তোকে,
আমি কেবলি হেরে যাওয়া তিথির কান্না…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here