শেষ ইচ্ছা
রেবা হাবিব।
—————————
চারিদিকে অনেক শোরগোল। বিভিন্ন মানুষের আনাগোনায় বাড়ি মুখরিত। আজ আনিসের বিয়ে, তার ভাল লাগার মানুষের সাথে।
একটু পর পর আনিসের মুখটা লজ্জায় লাল হয়ে উঠছে। তাই দেখে আনিসের ছোট বোনটা ঠাট্টা করতে লাগলো।
—- ভাইয়া কি হোল তোমার ??
—–তুমি দেখি মেয়েদের মত লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছ??
বোনের কথা শুনে আনিস আরও লজ্জা পেল।
আসলে এতদিন এর অপেক্ষার প্রহর শেষে প্রিয়জনকে কাছে পাবার ইচ্ছাটাকে আর দমিয়ে রাখতে পারছেনা। বিয়ের আয়োজনে মনযোগ দিল সে।
বিছানায় মোবাইলটা আনমনে ফেলে গেল।
ওদিকে বার বার মোবাইলে রিং দিয়েই যাচ্ছে অধরা। শেষ ইচ্ছাটা বুঝি আর তার পূরণ হলোনা।
”’প্লিজ ফোনটা ধরো ”’মেসেজও পাঠালো। কোন সাড়াশব্দ নাই।
৬ মাস আগে আনিসের সাথে পরিচয়। দু’জন অনেক ভাল বন্ধু হয়ে উঠেছিল। একটু বেশি হয়ত ভালবেসেও ছিল অধরা । হঠাৎ কেন জানি আনিস নিজেকে একটু সরিয়ে নিল অধরার কাছ থেকে।
বিয়ের গাড়ি প্রস্তুত। সবাই বরযাত্রী নিয়ে মেয়ের বাড়ির দিকে রওনা দিল।
আনিস জানতেও পারলনা যে, কঠিন রোগে আক্রান্ত অধরা হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে। দুই চোখের কোনা দিয়ে ঝরে যাচ্ছে অভিমানী জল।
আর স্যালাইনের একটু একটু করে পড়া ফোঁটার দিকে তাকিয়ে আছে বেঁচে থাকার আকুতি নিয়ে।
অনেক আশা নিয়ে অপেক্ষা করছে আনিসের ফোনের জন্য।