“আর্তনাদ ” ভিন্ন ধারার –অনু গল্পটি সৃষ্টিশীল লেখনির আলোয় আলোকিত করেছেন ভারতের লেখক ও কবি রত্নপ্রভা গাংগুলী ।

549
আর্তনাদ
ভারতের লেখক ও কবি রত্নপ্রভা গাংগুলী ।

             আর্তনাদ

                            রত্নপ্রভা গাংগুলী
—————————
আজ খুব খুশী প্রতিবারের ন্যায়
এবার ও বন্যা দৌড়ে প্রথম হয়েছে।
নাই বা হবে কেন,,,,, সেতো আর দশ টা পাঁচ টা ছেলে মেয়ের মত
জীবম ধারা নয়—।

যেন স্রোতস্বিনী নদীর স্রোতে
ভেসে আসা একটি ঢেউ।
বান ভাসির বন্যার জলে ভেসে আসা তির কুলে রেখে গেছে।
ছোট্ট একটি কুড়ি ফুল নোনা মাখা জল স্নাত বালুচরে নরম বিছানায় ঘুমিয়ে ছিল।
অবশেষে ঠাঁই হয়ে ছিল শিশু গৃহে,,,,,! তার নামাকরন করে নাম রাখা হয় ‘ “বন্যা ” ধীরে ধীরেপাঁচ টা শিশুর সাথেই বুলি ফুটে উঠে ,,
এরাই ছিল মা ,,,বাবা ভাই বোন
এর পরিবার।
চার বছর বয়সে ভাই বোন দের হাত ধরে–দীপ আকশ শোভা ওদের সাথে অনাথআশ্রমে ভিন্ন জীবন শুরু হয়!
খেলা ধুলো তারপর এক টু এ ক টু করে অ আ ক খ শব্দা ক্ষরে
পরিচিত হয় ,,, আলোর দিশায় সেখান থেকে একটি স্কুলে ওদের কে ভর্তি করানো হয়—-হাত ধরে
নুতন স্কুলে যাওয়া ,,,সেখানে পড়াশুনোর সাথে খেলা ধূলা নানা রকম,,,,ছোটাছুটি দৌড়া দোড়ি ,,
বেশ হাঁসি খুশী তেই বড় হতে লাগ লো।
বেশ বড় হলো একদিন স্কুলের
একটি বন্ধু কে দেখলো একজন বন্ধু কে গাড়ী থেকে নামিয়ে আদর করে
চলে গেল,,,,,এ মিমি কে রে তোকে
আদর করে চলে গেল,,,,কেন আমার পাপা । ওর কাছে পাপাশব্দটা নুতন
লাগলো আর অনেক প্রশ্ন জেগে উঠতে থাক লো। এভাবেই সে অন্য দের মুখে নুতন শব্দের মা বাবা মাম্মি দাদু দিদা শুনছে আর অবাগ
হচ্ছে,,,,,একদিন তার বন্ধুর জন্মদিনে অনেক চকোলেট নিয়ে
আসলো আর সব্বাই কেই হাতে দিল,,,খুব খুশী সবাই মিলে খেয়ে নিলো।
ওর মুখে ই জন্মদিন কথাটা শুনে
হতবাক হয়ে গেল,,,আশ্রমে এসে
এদের দেখাশোনা করার যে আয়া ছিল ,,,,পিসি আমাকে একটা কথা
বলবে,,,,আমার মা কোথায় আমার
জন্মদিনে কেন চকোলেট নিয়ে যাই না স্কুলে,,,,,সেই প্রশ্নের উত্তর ধীরে
পেয়ে গেছে,,,,,কিন্তু আকাশে তারা
টি তেই মা বাবা আছে মনে বিঁধে গেল।
এক দিন ,,,,জানিস তো শোভা আমি অনেক দৌড়াতে শিখবো
সবার আগে ছুটবো,,,,আর ছুটে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরবো।
রাতে পড়তে বসে জানালার পাশে
আর তারা গুলি দেখে বলে ,,,আসবো আমি আসবো দৌড়টি মেরে।
সেদিন স্কুলে বার্ষিকী খেলা ছিল
তাতে প্রথম হয় বন্যা ,,,,খুব খুশী
কিন্ত আবার ভাবছে ,,,কাশ মা বাবাকে আজ একটু দেখা পেত!
রোজ দিন কার মত পড়ার টেবিলে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে ,,,,চোখের পাতা ভারী হয়ে এলো,,,,, এই যে সোনা আমি যে তোর মা ,,,,এই প্রাইজ টা বুঝি
পেলি,,,,মা মা মা বলে শুধু আর্তনাদ,,,,,কি হয়েছে বন্যা,,,,
শুধু আর্তনাদ,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here