ডেকচি ও আমাদের গল্প
-এ কে এম আব্দুল্লাহ
মানিক মিয়া অ্যাভিন্যুর ফুটপাথে, বেঁচে থাকার বাসনায় কিছু বিষন্ন আত্মা, হঠাৎ ঘিরে ধরলো আমাকে। আর ঘুরে ঘুরে শুরু করে ব্যাকুল কান্না।কাঁদতে কাঁদতে একটি শিশুআত্মা ঢুকে পড়ে আমার ভেতর। আমিও তাদের সাথে কাঁদতে থাকি।
কিছুক্ষণ পর, রতিক্রিয়া শেষে আমার সম্মুখে এসে ভিড় ধরলো আমাদের তৃপ্তস্বজন ; তাদের হাত বেয়ে বেয়ে এখনও নামছে নিষিদ্ধ সুখের রস। আর তাদের পকেটের ভেতর চিকচিক করছে বেঁচে থাকার দলিল।তারা ভাতমাখা কৌশলে হাতধরাধরি করে পনিরের মতো কেটে কেটে উনুনে রাখা সেদ্ধের তামদারি ডেকচির ভেতর ঢেলে দিলো আমাদের। এরপর দিনের আঁধারে লাল রঙের ফিতা কেটে কিছু পান্জাবীপরা লোক, ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলো ডেকচির মুখ।
সেই থেকে আজও উনুনে পুড়া ডেকচির ভেতর আমরা বংশবিস্তার করছি।