ভুলে ভরা গল্প
আয়েশা মুন্নি
———-অহর্নিশ অন্ধকারে অভ্যস্থ চোখ হঠাৎ আলোর সংস্পর্শে জ্বালা করে উঠলেও একটা সময় সয়ে যায় আর সেই সয়ে যাওয়াটায় যখন অভ্যস্থ হওয়া যায় বা ভরসা করা যায় তখন দীর্ঘশ্বাস ফেলার বা নির্ভর করার আশ্বাস পাওয়া যায়।বুকের ভেতর জমানো কষ্টগুলো যখন ভুলে থাকার পথ খুঁজে,ঠিক তখনই নিয়তি তার দঁড়ি টান দেয়।
জীবন তবুও শেখানোর নিমিত্তে কেড়ে নেয় অনেক কিছু।তখন আর কারো আদর আহ্লাদ না মিললেও জীবন অনিয়মের হয় না।ব্যাঙ্গাত্নক তীর্যক বাক্যবানের মন্ত্রে অন্তর নয়,আকাশব্যাপি দহন বায়ু জ্বালিয়ে নিজের মত অন্তত বাঁচতে শিখা যায়।আর এই বেঁচে থাকাটাই জীবনের মূলমন্ত্র।
সূর্যস্নানে ভালবাসা কেনা যায় জীবনের দামে।স্পর্শরা বিক্রি হয় মলিন কাগজের নোটে।হাজার শব্দের ভীরে যখন বিবেকের দ্বার রুদ্ধ।অভিমানের বুনন ছিঁড়ে তখন ঠোঁটের কোণের এক চিলতে রহস্যময় হাসিই আদি অন্তের নিখাদ সম্পদ।সেই সব প্রেমময় …
তৈলচিত্র,
জলছবি,
বিমূর্ত প্রচ্ছদ,
সূর্যমুখী আলপনা,
মরাল গ্রীবার মাদুলি শোভিত ছবি,
ব্রীড়াভাঙ্গা শরীরের স্কেচ,
প্রতিশ্রুতি ভরা আবেগি চিঠি,
অতি আয়োজনে আঁকা নির্মোক ছবির রং খসে,সব কিছু সব কিছুই প্রেমে উদ্ধাস্তু হয় স্বৈরতার ইতিহাসে।
মৃত জোৎস্নার কিংবা অমাবস্যাতিথির বিপন্ন চেতনায় দূষিত বিবেক বিষ ছড়ায়।তা মায়াময় আর প্রেমময় দুঃসাহসিক শব্দযুগলের কাছে হেরে,পবিত্র পর্বতের বুকে অসংখ্য ফাটলের বুক চিড়ে আনে রঙ্গিন প্রভাত।
মনের গহীনে বিভোর চকচকে বিমূর্ত স্বপ্নের নিঃসষ্কোচে খুলে দেয়া বায়োস্কোপ,লক্ষহীন তিমির রেখায় হেঁটে হেঁটে অন্তহীন পথচলার চুপকথারা প্রতিনিয়ত কান্না হয়ে বুকেই ঝরে।আর বুকের অনেক গভীরে আগ্নেয়গিরির গর্ভ বেয়ে বাসা বাঁধে।
নিরাশার ঝরা পাতার মত গুমরে কেঁদে স্মৃতিগুলো পথ আঁকে উত্তর আকাশে জ্বলজ্বল করা ধ্রুব তারার মত।
সীমাহীন সৌরভের সাজানো সংসারের গন্ধ ঘ্রাণে হয় – মেঘ,মাদল,জল।তখন উত্তরের পবনের সুরে বাজে প্রতিক্ষার বিভাবরী রাগ।
পাহাড়ের চূঁড়া থেকে সাগরের ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভেসে যাওয়া দিন রাত সত্যের পথ খুঁজবেই।বিনে হিসেবের অংক বড় নিষ্ঠুর ভাবে মিলে যায় যদিও মন বলে …
“ভুল সবই ভুল”।