অভিমানী কবি
সাহানা
নীরব কেন কবি,
খুব মান হয়েছে বুঝি?
কেন কর এত অভিমান,
প্রিয়া ছাড়া তুমিও যে বেমানান।
তোমার হেয়ালি প্রেমের তাড়নায়,
কেমন যেন মুগ্ধতা ছড়ায়।
কি আছে তোমার ওই চাহনিতে?
লাজে মরি মরি! যখনি চোখ পড়ে আরশিতে।
কখনো নিয়ে যাও আমায় আকাশের বিশালতায়,
কখনো ডুবিয়ে মারো সাগরের অতল গভীরতায়।
এসব করে কি পেলে, কতটা সুখ পেলে বলোতো?
আমি তো সঁপেছি উর্বর শস্য ক্ষেত্র,
,সবুজ মৃত্তিকা, নির্মল বনানী।
যেখানে তুমি অবাধে বিচরণ করবে
তোমার মাঝে ডুবে যেতে চেয়েছি,
কিহ্,বোঝনি,ত
তবে শোন বলি-
অগ্নি গোলক থেকে উদীয়মান উর্বশী আমি
অঙ্গে অঙ্গে ছড়িয়ে আছে অনল,
আমায় পুড়িয়ে মারার ভয় কি দেখাও!
বিভীষিকাময় মালঞ্চ ঘেরা বাগিচায় আমার বসবাস,
আমায় শ্বাসরুদ্ধ করার নেই কোন অবকাশ।
তবে জেনো,আমার অনলে ডুবতে তোমায় হবে,
তোমার ও দর্পচূর্ণ হবে বৈ কি!
তুমিও ভাসবে,, নিমজ্জিত হবে,
বলেছি তো অভিমান কেন তবে?
বুজেছি, মান ভাঙ্গাতে প্রিয়ার আশ্রয় নিতে,
বললেই তো হয়,এত মান করতে হয় বুঝি,
তোমার মান ভাঙ্গাতে এসে
চিকন চিবুকে অঙ্গুলি স্পর্শে
কি এক মোহনীয়তা ছড়ায় সুখে!
কবি তবু বলি,এত অভিমান ভালো নয়।
প্রিয়তমার তরে এমন নিঠুর খেলা কি খেলতে হয়।
ডুবাও আমায় সাগরের অতল তলে,
ভাসাও আকাশের মেঘের দলে,
তবু কবি,অভিমান করবে না বলো।