বৃষ্টির মিষ্টি প্রলেপ
রায়হানাতুল জান্নাত
প্রভাকরের দৃপ্ততায়….
গনগনে দুপুরে, তপ্ত অসহ্য দহনে
রোদ তাপের বর্বব প্লাবনে
তিরিক্ষী মেজাজের উঠোনে
কাব্য লিপির সাত কাহনে
এঁকে দিয়েছি পড়ন্ত গোধূলির প্রক্ষেপণ।
অনিলাকাশে উড়ছে শকুন,
বুঝেছি বৈরিতায় ভাসছে শ্রাবণ।
বিতৃষ্ণার আচ্ছাদনে….
নেই কাব্যোঠোনে প্রেমের আলাপন।
প্রকৃতির কণ্ঠে রোদনের বিলাপ।
তপ্ত সুখ ব্যবচ্ছেদে……
সমান্তরাল ধ্রুবক নীড়ে উড়ে উড়ে ডায়েরী মোড়কে কেবল অঙ্কিত হচ্ছে ঈগলের পদ চিহ্ন।
সেই পথচারী পথ মেপে চলে
দগ্ধ নিঃশ্বাসে শ্বাসকষ্টের নিমগ্নতা।
অবশেষে দৈবিকতায়……
গোধূলি ফিরে আসে নগ্ন পায়ে।
মেঘের বুকে ছুরিকাঘাত করে
পথচারি বৃষ্টির ঝোলা নিয়ে নামে মৃত্তিকায়।
আর আমি সিন্ধু অববাহিকায় বসে একেঁছি পদ্ম পানকৌড়ির প্রেম কাব্য।
দৃঢ় পায়ে হেঁটে হেঁটে চলেছি ভেজা ধূলিপথে।
আমিও ভিজেছি, সাথে আমার কবিতারাও ভিজে ভিজে সরল
প্রেমের বন্ধনে করছে প্রকৃতি বিলাস।
বৃষ্টিস্নাত কদমের ডালে ডালে পাখিরাও স্নান সারে।
তৃষ্ণার্ত চাতকী বৃষ্টি সরোবরে কদমের পাপড়িতে সুখস্মৃতি আঁকে।
ত্রাসের নৈরাজ্যে এভাবেই নেমে এসো মিষ্টির প্রলেপে বৃষ্টি।
শব্দ, বর্ণ জব্দ করে, বাক্য শৃঙ্খলিত করে রসালাপে কাব্য করো সৃষ্টি।