মায়া
*********নাসরিন জাহান মাধুরী
তুমিও কি পারো কবিতা হোতে?
নীল নক্ষত্র কিংবা ধ্রুবতারা?
হৃদয়কে ঘাস বানাও?
ঘাস ফড়িঙদের সাথে কথা বলো?
তোমার মনও কি আলোক বর্ষ দূরের
কোন মন ছুঁতে পারে?
পারো কি ডুব সাঁতারে পৌছাতে
কারো হৃদয়ের গহনে?
খুঁজে পাও কি কোন কৌটায় রাখা আছে প্রাণ ভোমরা?
হোতে পেরেছিলে কি চঞ্চল ঝর্ণাধারা?
কিংবা স্রোতহীন বদ্ধ কোন পুকুর?
জেনেছো কি ঝর্ণা আর বদ্ধ পুকুরের বৈষম্য?
কখনো রনপা পরে হেঁটেছো কি কোন সড়কে
মিছিলের ঠিক মাঝ বরাবরে?
দিতে পারেছিলে কি উৎসুক জনতাকে চোখের বিনোদন?
হোতে পেরে মিছিলের কন্ঠ?
ঐ শিশুটির মতো মিছিলের সামনে থেকে
জয় বাংলা শ্লোগান দিতে দিতে যার ছোট্ট দেহটি
পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলো।
কখনো কি ঢেউ হয়ে আছড়ে পড়েছো সমুদ্রতটে?
বালুরাশি ভিজিয়ে দিয়ে আবার ফিরে গেছো–
তারপর প্রবল পরাক্রমে আবার ফিরে এসেছো তটের মায়ায়?
চোখ নামিয়ে রেখোনা–
তুমি প্রেমিক,প্রেমিকা কিংবা বিপ্লবী কিছুই হওনি।
নাই বা হোলে বিপ্লবী, নাইবা হোলে প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা–
তুমি তো কলমের ছোঁয়ায় হয়ে ওঠ এক দুরন্ত শব্দ সৈনিক!
তোমার অনুভব ছড়িয়ে দিতে পারো হাজারো পাঠক হৃদয়ে।
হয়ে ওঠ অসাধারণ দার্শনিক অনন্য ভাবনায়–
হয়ে যাও খেটে খাওয়া দিন মজুর, অফিস ফেরত একজন,
দিন শেষে যাকে দেখলে হাসিফোটে
সারাদিন অপেক্ষারত প্রিয়জনের মুখে–
চোখের কোণে খেলে যায় অপার্থিব মায়া!