ছেলের উপর মায়ের আত্মতুষ্টি নিয়ে “প্রাচুর্য কথা”লিখেছেন মা আয়েশা মুন্নি। যিনি কবি ও লেখক ।

855

প্রাচুর্য কথা

               মা আয়েশা মুন্নি ( কবি ও লেখক)

সেদিন বিকেল থেকে শুরু হয়েছিল প্রচন্ড বাতাস সাথে ইলেকট্রিসিটি চলে যায়। ফ্ল্যাটের জেনারেটর একটানা চলায় রাতে তাও অফ হয়ে যায়। মাঝরাতে ঘুমের ঘোরেই পাশে হাত দিয়ে দেখি আমার পুত্র ধন নেই।
করোনা ভাইরাস প্রার্দুভাব এর কারনে আমাদের সেইফটির কথা ভেবে পুত্রের রুমে তার পাপা স্থানান্তরিত হয়েছে। যেহেতু, উনার প্রফেশন এর দায়িত্ব পালনের জন্য উনাকে বাইরে যেতেই হবে।
বাবু কোথায় তুমি?
জবাব পাওয়ায় ভাবলাম, ওয়াস রুমে। আমি যথারীতি আধো ঘুমে আধো জাগরণে। হঠাৎ খেয়াল করলাম মাথায় ঠান্ডা বাতাস লাগাতে আরাম লাগছে। তাকিয়ে দেখি প্রাচুর্য আমার মাথার পাশে মোবাইল চার্জ দেওয়ার পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে কিভাবে কি দিয়ে যেন ফ্যান চালিয়েছে।

কি করিস বাপ?
তুমি গরমে ঘুমের ভিতর অশান্তি করছো তাই।
ঠিক আছে। মাঝামাঝি দে, মা ছেলে দু’জনের বাতাস লাগবে।
ছেলে আমার হু বলল ঠিকই কিন্তু আমার মাথা বরাবরই ফ্যান রইল এবং যদি পড়ে যায় তাই সে হাতে দিয়ে ধরে রাখলো।
একটু পর আবার বললাম একটা কিছুতে ঠেস দিয়ে রেখে ঘুমা, সে বলে মা তুমি ভোরে উঠো এরপর সারাদিন আর ঘুমাও না। আমরা সবাইতো সকাল এগারোটা অবধি ঘুমাই। আর কথা না বাড়িয়ে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম। কিছু সময় পরই হয়ত বিদ্যুৎ এল।
সকালে আমার কন্যাকে এবং ওদের পাপাকে বললাম। প্রাপ্তি বলল, অন্ধকারে একবার গিয়ে বোনকেও বাতাস দিয়ে এসেছে সে এবং দুই জনের সিদ্ধান্ত মায়ের ঘুমানো জরুরি। একেতো রোযা রাখছে তার উপর সারাদিন রেস্ট নেইনা।
এবার আমার অনুভূতি বলি, ছোটবেলায় পড়েছিলাম বায়েজিদ বোস্তামী মার জন্য পানি হাতে সারারাত দাঁড়িয়ে ছিল। কেননা, মা পানি খেতে চেয়ে ঘুমিয়ে গেছে।
আজ আমার তের বছরের পুত্রের জন্য ও আমার মন তেমনি দোয়া দিয়েছে।

মা আয়েশা মুন্নি। যিনি কবি ও লেখক ও তার সন্তান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here