ঈশ্বর কণা-৭
অ ল ক জা না
১
ছবিটি
জলাশয় ভেজা
কবিতা
ভেসে থাকে
রৌদ্র নিরাময়
আমার চেনা পৃথিবী।
————–২——————
হারমোনিয়াম জাগলে
সকল স্বর
সুর হয়ে যায়
সংগীত মিলিয়ে দিতে হয়
কেবল মিথুন জানে
আরোগ্যের মহিমা।
—————-৩—————–
চোখে
সিন্ধু-অরণ্যের গান
নেমে আসে ঝর্ণা এক
বিশুদ্ধ ক্ষমা
সেরে ওঠো পৃথিবীর
ডাকে আমিও বিনিদ্র জাগি
চোখে লেখা থাকে
প্রত্যাশার আকাশ।
—————-৪——————-
চেয়েছি
সামান্যই
একটা ছবি
সুস্থ জীবন্ত।
কতটা নির্দয় হলে
জ্বলে ওঠে পৃথিবীর চিতা !
——————-৫———————-
সব আড়াল সরলেই
পরম সুখ
তুই সেই দিশা
চেনা নদীর ঘ্রাণ
বুকের একাংশ
পুড়িয়ে দেয় কৃপণতা।
———————৬———————
মরা নদী
জল চায়
প্রাণ—–
মেঘ উদার না হলে
কিভাবে গড়ে ওঠে
নদীমাতৃক সভ্যতা।
———————৭———————-
নিষ্ঠুর যোদ্ধাও
স্তনের কাছে
সরল শিশু
সেই সুন্দর
হাতে দাও
বিশুদ্ধ হই।
——————-৮——————
নাব্যতার পরম ছায়া
পাহারা ব্যস্ত
নির্মম অন্তর্বাস !
অভুক্ত যোনি
নদী অসহায়
স্রোতের তরঙ্গে ভাসে
পরমায়ুর
যথার্থ স্বাদ।
—————–৯——————
সুড়ঙ্গেই
স্খলন,
মুক্তি
আবার জন্ম চাই
পরম যৌবন
সমস্ত ব্যস্ত সচল
আড়ালে রাখে
সুড়ঙ্গের রহস্য।
—————-১০—————-
তোর জন্যই
আয়োজন
মিথ্যে নয়
সভ্যতা হারিয়ে দেবে
দুষ্টু ভাইরাস
ইতিহাসে প্রমাণ নেই
খলনায়কের জয়।