কলমযোদ্ধা আওলিয়া খানমের এর একটু ব্যতিক্রমধর্মী লিখা গল্প “ঝুনুর জীবনযাপন ”

776

ঝুনুর জীবনযাপন

                         আওলিয়া খানম

মেয়েটা ডাক্তারী পাশ করেছে কতটা বছর হয়ে গেল, একটা বিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে,মেয়েটার মনেও কোন তাড়া নেই,হাসপাতালে যাচ্ছে আসছে, সাথে আবার পিজি হাসাপাতালেও একটা কোর্স ও করছে। মেয়েটাকে ঘিরেই ঝুনুর সব ভাবনা ,ভাবতে গেলেই সব এলামেলো হয়ে যায়।
আগে মার সাথে কিছু আলোচনা করতে পারতো,নাইমের সাথে, নাহয় সহকর্মীদের সাথে। আজ সে উপায়ও নেই। একটি দুর্ঘটনায় ঝুনুর একটা হাত ,পা ও পাজরের হাড় ভেঙ্গে গেল। আর উঠে দাড়াতে পারলো না, তবু চেষ্টা করেছিল সুস্থ হয়ে কোনরকমে চাকরীটা চালিয়ে যাবে, কিন্তু পারেনি।
মনে পড়ে সেই ছোটবেলার কথা,পিঠাপিঠি চার বোনের পর দু’ ভাই,বাবার তেমন রোজগার ছিলোনা, কিন্তু ঢাকায় একটা ছোটখাট বাড়ী ছিল,খিলগাঁয়ে। বড়বোনটি তেমন পড়াশুনা করেনি,বিয়ে দিয়ে দিল,কিন্তু বনিবনা না হওয়াতে ফিরে আসলো ,একটা সন্তান হয়েছিলো,সেটাকেও শ্বশুরবাড়ীর লোকেরা রেখে দিল। কি আশ্চর্য তাই না যে মা নয় মাস পেটে ধরলো, দুধ খাইয়ে, রাত জেগে সন্তানটিকে লালন পালন করলো,আইনতঃ সে বাচ্চার কিছুই না। বাবাই সন্তানের সব। ভেতরটা হু হু করে উঠে,চলে আসার সময় কি রকম মা মা করে ছেলেটা কাঁদছিলো। একটু কোলে নেওয়ার জন্য এগুতেই শ্বাশুড়ী এসে এক ঝটকায় ভেতরে নিয়ে গেল। তিনবছরের ছেলেকে রেখে এসেছে,প্রায় আরো পাঁচ বছর পার হয়ে গেল। ছেলেকে একবারও দেখেনি। এতদিনে হয়তো ছেলে মাকে ভূলেই গেছে।

সব ভাইবোনদের তুলনায় ঝুনু ছিল তুলনামূলক মেধাবী ,তাই সে ভাল বিষয় নিয়ে পড়া শেষ করার প্রায় সাথে সাথেই একটা ব্যাংক এ প্রবিশনারী অফিসার হিসেবে যোগ দিলো। বছর দুয়েকের মধ্যে একজন ব্যবসায়ীর সাথে বিয়েও হয়ে গেলো।
ঝুনুর স্বামীই চেষ্টা করে ওর বড় বোনটিরও একটা বিয়ে দিয়ে দিলো, ভদ্রলোকের স্ত্রী একটি মেয়ে রেখে মারা গিয়েছে।রুনুও রাজি হয়ে গেল, কি করবে সে, সে তেমন লেখাপড়াও জানেনা,কিছু করার মত যোগ্যতাও নেই, বাবাও অসুস্থ, ভাইয়েরা হচ্ছে সবার ছোট,কবে ওরা পাশ করবে, চাকরী করবে,তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই\ অগ্যতা তাকে বেঁচে থাকতে হলে একটা উপায় তো খুঁজে বের করতেই হবে।
ঝুনুর বিয়ের কিছুদিন পরই ওর বাবার গলায় ক্যান্সার ধরা পড়লো। প্রথম প্রথম শুধু গলায় ব্যাথা, বুঝে উঠতে পারেনি, কি হয়েছে? যখন ডাক্তারের কাছে গেল,ডাক্তার বললো এটি এক ধরনের ঘা, যাকে বলা হয় ক্যান্সার।কিছু ঔষধপত্র দিলেন, কিন্তু কিছুই হলোনা । ক্রমেই বিস্তৃতি হতে হতে পুরো শ্বাসনালী খাদ্যনালী ও ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়লো। শেষ দিকে তিনি যন্ত্রনায় শুধু বিছাানায় এপাশ ওপাশ করতেন, কিছু খেতে পারতেননা। এভাবেই তিন/চার মাস ছিলেন ,তারপর একদিন সব যন্ত্রনার অবসান ঘটিয়ে চলে গেলেন অনন্তের পথে।
জীবন চলার পথে মৃত্যুও একটি প্রক্রিয়া মাত্র,তাই যারা বেঁচে থকে,দু/তিন দিন শোক কাটিয়ে ,আবার যে যার কাজে চলে যায়, পেছনে পড়ে থাকে শুধু স্মৃতি,অথচ যে লোকটি মারা গেল, তাকে ঘিরেই ছিল এই পুরো সংসারটি। তিনিই ছিলেন সংসারের পুরোধা। তার আয়েই এ সংসারটি চলতো,তার মৃত্যুর পরও চলছে।
বিয়ের পর ঝুনু চলে গেল ধানমন্ডিতে তার স্বামীর বাড়ীতে। সেখানে ঝুনুর স¦ামী ছাড়াও রয়েছে তার দুই বোন মা বাবা আর তিনটা কাজের লোক,ঝুনুর শ্বশুড়ও ছিল ব্যবসায়ী,উচ্চবিত্ত পরিবার।
প্রথম প্রথম ঝুনুর কিছুটা অসুবিধাই হতো। ঠিক বুঝে উঠতে পারতোনা কি করবে। ওর স্বামীর বোনেরা শুধু সাজগোজ আর শাড়ী গয়না এসব নিয়েই থাকতো।তাদের আলাপের বিষয়বস্তুও ছিল এসব নিয়েই। এরা যে পড়াশুনা করেনি তা নয়, তবে কি এরা একটা সার্কেলের ভেতর আটকে গেছে ,সেখান থেকে ওরা আর বেরুতে পারেনা।
ঘুরে ফিরে একই কথা,কোন শাড়ীটা নূতন আসছে বাজারে । কোন ধরনের সালোয়ার কামিজ চলছে, বøাউজের ফ্যশন টা এখন কোনটা নূতন,ইত্যাদি নিয়েই ব্যস্ত। ঝুনু কতক্ষন এসব আলাপ আলোচনা থাকার পরই ক্লান্ত বোধ করে, তখন বলে, তোমরা গল্প কর,আমার তো সকালে অফিসে যেতে হবে । আসি তবে ।
আর ওর শ্বাশুড়ী প্রতিদিনই একবার জিজ্ঞেস করতো বৌমা তুমি কত বেতন পাও, সংখ্যাটা বলার সাথে সাথে একটা চাপা হাসি শোনা যেতো,আর বলতো , সারাদিন খাটো মাত্র এই কটা টাকার জন্য,ওরকম কয়টা টাকায় তো আমাদের কাজের লোকের বেতনও হয়না।
ঝুনু কোন উত্তর দিতোনা, কি বলবে ওরা যদি বুঝতো চাকরীর গুরত্ব,তাহলে আর এসব কথা বলতো না।
তবে ওর শ্বশুর কখনো কিছু বলতো না, শুধু একদিন ওর শাশুড়ীর কথাটা শুনে বলেছিলো, তোমরা যা বোঝনা তা নিয়ে কথা বলতে যাও কেন। তোমরা কি কেও ঝুনুর সমান পড়াশুনা করেছো। সে অর্থনীতি নিয়ে পাশ করেছে। জীবনের শুরুতেই অফিসার, ও কোথায যাবে শেষ পর্যন্ত,তোমরা যদি বুঝতে,তাহলে আর ঝুনুকে আজে বাজে কথা বলতে না।
ওর শ্বশুড় বুঝিয়ে বললো,ও একটা ব্যাংকের অফিসার,আমাদের ব্যবসার কাজের জন্য লোন নিতে হলে , ওই সব ব্যবস্থা করে দিবে। পাল্টা ওর শ্বাশুড়ী বললো, যখন ঝুনু ছিলোনা তখন কি ব্যবসা করোনি।.
ওর শ্বশুর বললো করেছি , তবে সমস্যা হতো, তোমরা কি বুঝবে, সারাদিন খেটে টাকা এনে দিয়েছি,তোমরা ইচ্ছেমত খরচ করেছো,এখনো করছো। দয়া করে তোমরা মা মেয়েরা মিলে আর মেয়েটার পেছনে সারাদিন খিটিমিটি করোনা।
এভাবেই প্রায় দুবছর কেটে গেলো। সুখবরটা প্রথমেই দিল নাইমকে। নাইম প্রথম অবাক হয়ে ঝুনুর দিকে তাকিয়ে রইলো, বললো কি কি বললে,আমি বাবা হব,সত্যি,বলছো কি করে বুঝলে?
ঝুনু বললো ব্যাংকের ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম, শরীর খারাপ লাগছে তাই, তিনি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বললেন, আপনি মা হতে যাচ্ছেন,
নাইম তো খুশীতে আত্নহারা হয়ে মা মা বলে চিৎকার শুরু করে দিলো, মা বললো অমন চিৎকার করে ডাকছিস কেন । বলল মা তুমি দাদু হতে যাচ্ছ।বলিস কি, সত্যি? তোর বাবা কোথায়, বাবাকে ডাক।
ওর শাশুড়ী বললো মা তুমি কাপড় ছেড়ে হাতমুখ ধুয়ে এসো,তোমাকে এখন থেকে ভাল করে খেতে হবে।এরকম কম কম খেলে চলবেনা। দুইবোনও শুনে খুশীতে লাফাতে শুরু করলো।
নিয়মিত অফিস করলো,তবে ডাক্তার দেখানোর কাজটি ঝুনুর শ্বাশুড়ীই করলো। সময় ঘনিয়ে আসতেই ঝুনু অফিস থেকে ৩ মাসের ছুটি পেল,। বাচ্চা প্রসব হতে আরো দিন পনের বাকী আছে। যথাসময়েই এবটা সুন্দর ফুটফুটে মেয়ে হলো, দাদা দাদী খুশীতে আতœহারা। দু/এক দিন পর বাসায় চলে আসলো। এদিকে ঝুনুর মাও আসলো মেয়েকে দেখার জন্য, রাতে তিনিই থাকেন মেয়ের সাথে,তাতে করে মেয়েটার একটু আরাম হয়।
একসময় ছুটি শেষ হলো,ব্চ্চাারও প্রায় আড়াইমাস হয়ে গেলো। ওর মা চলে গেলো,ঝুনুর শ্বাশুড়ী বললো এখন আর ঝুনুর চাকরী না করাই উচিত। নাইম বললো ,মা তুমি এসব কি বল, কত মেয়ে চাকরী করছে,কদিন পরেই ও বড় হয়ে যাবে, আর আমরা সবাই আছিনা। আমরা কি ওর পর?
এক সপ্তাহ অফিস করার পরই নাইমের মা বললো, আমার পক্ষে বাচ্চা দেখা সম্ভব না। ঠিক আছে মা,ঝুনু কালই ওর মার ওখানে চলে যাবে। তারপর আমি ওদের বাসার কাছাকাছি একটা বাসা নেবো।
পরের মাসেই একটা বাসা নিয়ে নিলো। ঝুনুর ভাইবোন ও মা মিলে বাসা গুছিয়ে দিলো। ওর মা বেশীর ভাগ সময় এখানেই থাকে। আর ঝুনু অফিসে যাওয়ার সময় বাচ্চাটাকে ওর মার কাছে রেখে ওরা দুজনেই গাড়ী করে বেরিয়ে যায়।বিকেলে ফিরে মায়ের বাসায়ই চা টা খেয়ে নিজের বাসায় চলে আসে।
ওদিকে নাইমের মা আর বোনেরা একদিন আসলো,বললো ছিঃ ছিঃ এ কোথায় থাকিস তুই ! এযে একবারে বস্তি। যত্তসব ছোটলোকের আড্ডা। মা , তোমরা যত যাই বলো আমি এখান থেকে যাবোনা। তোমরা কেন বুঝতে পারছোনা, এখান থেকে মতিঝিল কাছে।আমার অফিসও মতিঝিল,আমদের তো কোন সমস্যা হচ্ছেনা ,তোমরা কেন এই নিয়ে এত হল্লা করছো।
মেয়ে বড় হচ্ছে, ওকে স্কুলে দিতে হবে। ওরা শুধু ভর্তি করিয়ে দিলো আর ওর নানী খালা মামারাই গাড়ী করে আনছে নিচ্ছে।
ওদের কাছে টুম্পা একটা পুতুল। মেয়েটিও হয়েছে একবারে বাবার মত ফর্সা ধবধবে, আর কথাও বলে কুট কুট করে সারাক্ষন।
ইদানিং সে রাতেও অনেক সময় নানীকে ছেড়ে আসতে চায়না।
নাইমের বাবাও আসেন, নাইমরাও ঈদ কিংবা অন্য কোন ছুটি হলে নাইমদের বাসায় যায়,কয়দিন থাকে। আবার মেয়ের স্কুল ছুটি থাকলে বেশ কয়দিনই থেকে যায়। কারন এখন তো আর টুম্পা ছোটটি নেই স্কুলে পড়ে। দাদীর সাথে এখানে সেখানে ঘুরতেও যায়।
হঠাৎ একদিস নাইমের বাবার শরীরটা খুব খারাপ লাগছিলো,বাসায় ডাক্তার আসলো, বললো হসপিটালে নিয়ে যান। বিভিন্ন চেক টেক করে ডাক্তার বললো দু/এক দিন থাক আমরা একটু অবজারভেশনে রাখি। রাতে নাইমই থাকলো। ডাক্তার কথা বলতে বারন করে দিয়েছে,তবু তিনি নাইমকে ব্যবসার কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় সম্পর্কে বললেন। নাইমের নিষেধ একবারেই তিনি শুনলেন না,বললো বাবা,আর হয়তো সময় পাবোনা, তোকে জানানো টা জরুরী,তুই আমার একমাত্র ছেলে।
সকাল হতেই শরীরের অবস্থা আরো খারাপের দিকে গেলো, নাইম বাসায়ও ফোন করে মাকে আসতে বললো, ডাক্তারও আসলো.তিনি নিশ্বাস নিতেই পারছেননা। একসময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন।
নাইম বড় বেশী ভেঙ্গে পড়লো । এই অত বড় ব্যবসা সে কেমন করে একা দেখবে।সে ঝুনুকে বলেছিলো তুমিও চলে এসো। ঝুনু বললো আমি তো ব্যবসার কিছুই বুঝিনা। আমি ব্যাংকেই থাকি। কোন সমস্যা নেই। তুমি চালাতে পারবে।
নাইম এখন মার কাছেই বেশী থাকে. তার মা বড় বেশী একা হয়ে গিয়েছে। কারন তিন বোনেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তারাও আজকাল আসা কমিয়ে দিয়েছে। তাই ঝুনুও বাসা ছেড়ে দিয়ে এবাসায় চলে এসেছে।
তবে টুম্পার নানী ,খালা, মামা ওদের জন্য মন খারাপ থাকে। মাঝে মাঝে ওরাই আসে,এখন আর নাইমের মা কিছু বলেনা। আসলে বলে আপনারা থাকেন থাকলে ভাল লাগে,আমার একা একা একদম ভালো লাগেনা। আর টুম্পাও আপনাদের কাছেই থাকাতে ওরও ওখানেই মনটা পড়ে থাকে।
এভাবেই ঝুনুর জীবন চলে যাচ্ছে। একসময় সবাই ভ‚লে যায়। মৃতদের খুব বেশীদিন কেও মনে রাখেনা এবং এটাই বাস্তবতা।
টুম্পা সবেমাত্র মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছে, এরই মধ্যে ওর বাবা একদিন হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে গেলো। তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালে নেয়া হলে পরীক্ষা করে দেখলো তার ব্লাড প্রেসারও অনেক তার উপর আবার ডায়বেটিস,এতসব কখন হলো টেরই পায়নি।
নিয়মিত ঔষধ খেতে শুরু করলো, কিন্তু তার যে সমস্যাটা প্রকট হলো তা হচ্ছে তার চোখের দৃস্টি শক্তি কমে যাচ্ছে।
মা ও বোনেরা বললো এরকম তো হবেই তোর কি কোন যত্ন হয়েছে? সারাদিন তোর বও চাকরী নিয়ে ব্যস্ত। এসব বলাবলির মধ্যে ঝুনু আর থাকতে চাইলো না। কারন নাইমের মা ঝুনুকে নাইমের কোন কাজ করতেই দিচ্ছেনা,করতে চাইলেই বলে , যাও যাও, তোমার সকালে অফিস আছে, ঘুমাতে যাও।এছাড়া নাইমের এক বোনও চলে আসলো।ঝুনু আর থাকলো না,চলে আসলো মায়ের কাছে।
নাইমকে নিয়ে ওর বোনের স্বামী চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গেলো,চোখের মধ্যে ইনজেকশন দেওয়ার দরকার হলো, দু’মাস পর পর সেই নিয়ে যায়। কিন্তু কিছুই হচ্ছেনা, খুব সামান্যই দেখতে পায়। ওরা আর ঝুনুর সাথে কোন যোগাযোগ করেনা। ব্যবসা এখন নাইমের বোনের স্বামীই দেখোশোনা করে।
ঝুনু শুনতে পায় দিনে দিনে নাইমের অবস্থা খারাপই হচ্ছে। ঝুনু একদিন গিয়েছিলো অফিস থেকে বেরিয়ে,নাইমের মা ও বোন ওকে ঢুকতেই দিলোনা।
আসেÍ আস্তে নাইম প্রায় পুরোই অন্ধ হয়ে গেলো।
খাবার সময় কেও ঠিকঠাক করে না দিলে খেতে পারেনা।
এভাবেই বেশ কয়েক বছর বেঁচে ছিলো।টুম্পা মাঝে মাঝে যায় গিয়ে বাবার কাছে বসে থাকে। বাবার হাতটা ধরে বসে থাকে। সেদিন রাত্রে মাকে ফোন করে বললো মা আমি আজ রাতে বাবার সাথে থাকি। ঝুনু বললো থাক।বাবার পাশেই থাকলো।
টুম্পা সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানা থেকে নামতেই দেখলো ওর বাবার হাতটা বিছানার বাইরে ঝুলছে।
চিৎকার করে ডাকলো দাদু দাদু ……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here