মোমি’র মতো কিংবদন্তি ; একাকিত্ব
শফিকুল ইসলাম
পালাবে? পালাও!
মাঠ পেরিয়ে, অস্থির বুকে, খুঁজে নাও পথ
পাথর গুলো এবড়ো-খেবড়ো, উথাল-পাতাল
খটাখট শব্দে ট্রেনের মতো, বুক ধুঁকিয়ে
এখনি পালাও।
তুমি দিকভ্রান্ত, তোমার চিন্তায় উত্তর হয় না,
দক্ষিণ মানে না, পূব-পশ্চিম কিছুই পড়ে না মনে।
আস্তিন গুটিয়ে নিঃসঙ্গতা আসে ছানিপরা চোখে।
কেবল ধুলো, কেবল ছানি, কী জানি কী জানি
শঙ্কা!
মাঝরাত দখল নিয়েছে হুতুম প্যাঁচার ডাক
নিস্তব্ধতা, একফালি চাঁদ ; তবু অন্ধকার মেখে
নেতিয়ে কুকুর, গলির মোড়ে মেলে রাখে ঢুলুঢুলু চোখ।
ভোরের দেশে, অনন্ত আলোয় এখনি দেখা হোক।
প্রতিটি ঠোঁটে লালা জমে ওঠে টপটপ পড়ে আদিরস
বোধ ও সময় তরবারি হাতে, জাগতিক জয়ে স্বস্তি।
তুমি দৌড়োবে, ঘেমে যাবে, ক্লান্ত হবে; তবে এগুবে না!
বিষাদ মুছে দেবে উলঙ্গ পর্যটন, উন্মুক্ত
ফেনিল জোয়ারে বুদবুদ যৌবন অনাগত ভাটির!
নন্দন কাননে এ কেমন ক্রন্দন বাজে কামনার!
সবাই সারিবদ্ধ, সবাই দেখছে ঝলসানো সময়!
নিঃসঙ্গতা ঝুঁকে আছে আগামী ফসলের বাসনায়।
আমরা কেবলই হেরে যাই নাগরিক জীবনের ফাঁদে
মোমি’র মতো কিংবদন্তি হয়ে কিনেছি একাকিত্ব।
এই ফুলগুলো সুশোভিত, মনোরম; প্রজাপতি যেমন,
ছায়াহীন, আলোহীন হৃদয়ের মতো হলদে,কৃত্রিম।
আমরা হয়তো এভাবেই মরে যাবো বেঁচে থাকার মাঝে,
মরে যাবার অনেক আগেই মুছে দেবো ফড়িং হৃদয়!