সমাজ-সভ্যতার কবি-প্রবীর ভদ্রের বিশুদ্ধ শব্দের নির্মাণ “ছায়াশূন্যতার বজ্রঘোষণা”

279
প্রবীর ভদ্রের বিশুদ্ধ শব্দের নির্মাণ “ছায়াশূন্যতার বজ্রঘোষণা”

ছায়াশূন্যতার বজ্রঘোষণা

প্রবীর ভদ্র


সময়ের আয়নায় কখনো আলো কখনো অন্ধকার
এ তো আলো অন্ধকারের লুকোচুরি খেলা নয়—বেসাতি
উন্মুক্ত আলো চুরি করে অন্ধকার ছুঁড়ে দেওয়ার ব্যবসা।
যারা আলোর অন্দরে—তাদের ছায়া নেই
ছায়া নেই যারা আছে নিবিড় আঁধারে
মাঝখানে যারা তারাই খোঁজে মায়াময় ছায়া।
ছায়া দীর্ঘতম হলেই গ্রাস করে আঁধার,
আর হ্রস্ব হতে হতে প্রবেশ করে আলোর বৃত্তে।
অন্ধকার থেকে ছায়াশূন্য আলোর-পথে যাত্রী আমরা
প্রাত্যহিকের আলো নয়,আমরা চাই যুগান্তের দীপ্তি
যে আলোয় থাকবে অন্ধকারের অবসান,
ছায়াশূন্যতার বজ্রঘোষণা—

পাঁচশো বছরের বন্ধা-ব্যবসার সমাপ্তি টেনে
উজ্জ্বল হবে মানুষ আর মনুষ্যত্বের জয়গান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here