মাতৃভাষার শরশয্যা
কলমে : অন্তরা ঘোষ
আজ একুশে ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। অবসরপ্রাপ্ত দিবাকর চক্রবর্তী সাদা ধবধবে পাঞ্জাবি পায়জামা পরে সকালে মর্নিং ওয়াক করতে বেরিয়ে গেলেন। সবে পার্কে হাটা শুরু করেছেন এমন সময় মিস্টার ‘রে বারমুডা আর গেঞ্জি পরে হাঁপাতে হাঁপাতে দিবাকরের সঙ্গ নিলেন..”গুড মর্ণিং মিস্টার দিবাকার.. হোয়েন হ্যাভ ইউ কাম ? আই এম গেটিং লেট টুডে..
আপাদমস্তক বাঙালিয়ানা বজায় রাখা দিবাকরের আজকের দিনে এই সাহেবি শুভেচ্ছা পছন্দ হল না। মনে মনে ভাবে বাঙালির নিজের ভাষা বলতে এত কি কষ্ট.. এত কি লজ্জা!
মিস্টার ‘রে কে রিপ্লাই করে দিবাকর, সুপ্রভাত রায় মশাই..হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন আজকে আমি একটু তাড়াতাড়ি এসেছি..
মিস্টার ‘রে ঠাট্টার সুরে বলল, আপনি তো আবার বেঙ্গলি ছাড়া বলেন না.. বুঝলেন না অনেকদিন দেশের বাইরে ছিলাম, তাই বেঙ্গলি বলতে আনইজি ফিল করি.. ঠিক কমফর্টেবল নয়।
শুনে আপাদমস্তক জ্বলে গেল দিবাকরের।
চাঁচাছোলা স্বরে বলল, মাফ করবেন রায় মশাই.. বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আমিও একসময় চাকরিসূত্রে বহুদিন দেশের বাইরে ছিলাম কিন্তু নিজের পরিচিতি নিজের অস্তিত্ব নিজের শিকড়, নিজের ভাষা সংস্কৃতি বিসর্জন দিই নি। যে নিজের ভাষাকে নিজের সংস্কৃতিকে ভালোবাসে না, খুব গর্বের সাথে নিজের ভাষাকে ছোট করে বিদেশী বুলি আওড়ায়, তেমন মানুষের সংস্রব আমি এড়িয়ে চলি.. নমস্কার..
দিবাকর বাড়ির দিকে হনহন করে হাঁটা দিল..
মিস্টার ‘রে দিবাকরের যাওয়ার পথে তাকিয়ে মনে মনে বলল, ব্লাডি বেঙ্গলি.. পাতি সেন্টিমেন্ট ধরে বসে থাকে.. এই জন্যই বেঙ্গলি জাতিটার আর কোন উন্নতি হল না।
খাবার টেবিলে দিবাকর, স্ত্রী অলকা, আর দশ বছরের নাতি আজ বসে আছে। ছেলে আকাশ বৌমা রুমেলা আর ষোলো বছরের নাতনি পৌলোমী এখনো ওপর থেকে নামেনি। অলকা সকলকে লুচি আলুর দম পরিবেশন করে দিচ্ছে।
আর্য লুচি মুখে পুরে দিবাকরকে বলল, গ্র্যান্ডপা তুমি বলছিলে না আজকে কি যেন একটা ডে? রোজ ডে বুঝি ?
দিবাকর বললেন, দাদুভাই তোমাকে কতবার বলেছি না আমাকে গ্র্যান্ডপা বলবেনা দাদু বলবে..
আর্য বলল, কিন্তু আমার ফ্রেন্ডরা তো সব তাদের গ্রান্ড ফাদার গ্রান্ড মাদার কে গ্র্যান্ডপা গ্র্যান্ড মম বলে ।
অলকা বলে উঠল, ছোট ছেলে ওর যা ভালো লাগছে বলছে, কেন ওকে মানা করছো ?
দিবাকর বলল, তুমি বুঝতে পারছ না অলকা.. এখন থেকে যদি ওদের বাংলার প্রতি বিরাগ হয় তাহলে বড় হয়ে নিজের মাতৃভাষা তো ভুলেই যাবে।
আর্য বলে উঠল , ওকে দাদু বলোনা আজ কি ডে..
দিবাকর বলল, আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
সেটা কি হয় দাদু? আর্য প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো।
দিবাকর বললেন,দাদুভাই তোমরা নিশ্চয়ই ইতিহাসে পড়েছো দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তান একটা আলাদা রাষ্ট্র হয়ে গেছিল।
আর্য বিজ্ঞের মতো মাথা নাড়লো, জানি তো দাদু ফর্টিন ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান কান্ট্রি তৈরি হয়েছিল।
দিবাকার বললেন, মহম্মদ আলী জিন্নাহ ওই সময় ঢাকায় একটা জনসভায় ঘোষণা করেছিলেন যে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হবে। সেই সময় পূর্ব পাকিস্তানের অনেক বাংলা ভাষী মানুষ বাস করত।
আর্য বলে উঠল, তারা বুঝি প্রটেস্ট করেছিল?
দিবাকর বললেন, হ্যাঁ দাদুভাই। পরে ১৯৫২ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও যখন জিন্নাহর দেখানো পথ ধরে ঘোষণা করলেন উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হবে তখন সকল বাংলাভাষী মানুষেরা প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছিল। পাকিস্তানে তখন ১৪৪ ধারা জারি করে বলা হয় যে একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে একমাস কোন মিটিং মিছিল সভা করা যাবে না, সব বন্ধ থাকবে।
একুশে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারাকে অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র বাংলা ভাষাকে স্বীকৃত ভাষা হিসেবে পরিচিতি দিতে হবে –এই আবেদন নিয়ে মিছিল বার করে। তখন পাকিস্তানি পুলিশ বহু ছাত্রকে গুলি করে মারে।
এই শহীদদের স্মরণে ঢাকাতে পরবর্তীকালে একটি শহীদ মিনার তৈরি হয়। এরপরে ১৯৫৪ সালে উর্দুর সাথে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়।পরে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো থেকে শহীদ দিবসকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এই হল ভাষা দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
আর্য বলল, আচ্ছা এবার ব্যাপারটা ক্লিয়ার হল।
উপর থেকে ছেলে আকাশ, বৌমা রুমেলা, আর নাতনি পৌলোমী নেমে এল।
রুমেলা ইন্টেরিয়ার ডিজাইনার। ছেলে বৌমা দুজনেই একসাথে বেরিয়ে যায়। বৌমার পরনে সাদা টপ আর ব্লু জিন্স। বয় কাট চুল, মাথায় সিন্দুরের চিহ্নমাত্র নেই। নিরাভরণ হাতে এক হাতে ঘড়ি, অন্য হাতে একটা সোনার বালা।
দিবাকরের এই পাশ্চাত্য সাজ-পোশাক একদমই পছন্দ হয় না। কিন্তু মুখেও কিছু বলে না। পোশাক যার যার ব্যক্তিগত রুচির ব্যাপার।পৌলমীর পরনে হট প্যান্ট আর টপ। পৌলোমী এসেই চেয়ারে বসে পড়ে বলল, গুড মর্নিং গ্রান্ড পা , গ্র্যান্ড মা, মম , ড্যাড.. আই এম ফিলিং হাংরি.. খেতে দাও আমায়।
রুমেলা বলে উঠল, মা আপনি জানেন আমি লুচি খাই না, ডায়েটে আছি.. স্যান্ডউইচ ডিম সিদ্ধ আর ফলের রস কোথায় আজকে..!
অলকা আমতা আমতা করে বলল,আসলে বৌমা , তোমার শশুরের ইচ্ছে আজকে সবাই মিলে বাঙালির চিরন্তন প্রিয় খাবার লুচি আর আলুর দম খাও ..একদিন খেলে কি হবে ?
রুমেলা বলল, মা আমাকে ফিগার মেন্টেন করতে হয়.. বাবার সিলি ইমোশন অনুযায়ী চললে হবে না.. আপনি স্যান্ডউইচ করে দিন আমাদের তিনজনকে.. ছেলে তো আমার হাতে বাইরে চলে যাচ্ছে.. বাবা রোজ ওর ব্রেন ওয়াশ করে জানি আমি।
আর্য বলে উঠল, মম জানো আজকে কি ডে ? ইন্টারন্যাশনাল বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ ডে.. দাদু তো আমাকে হিস্ট্রিটা বলল।
রুমেলা আকাশকে বলল, দেখো তোমার ছেলে কেমন গ্রামের ভাষা শিখছে.. দাদু বলতে শিখে গেছে.. এরপর কোনদিন আমাদেরও মা-বাবা বলতে শুরু করবে.. !
দিবাকর বলে উঠল, তাতে কি হয়েছে বৌমা , সে তো খুব গর্বের ব্যাপার..
রুমেলা বলল, বাবা আপনার বাঙালি সেন্টিমেন্ট নিয়ে আপনি থাকুন.. আজকের জগতে হিন্দি আর ইংলিশ না বললে জীবনে কিছুই উন্নতি করা যায় না..
বাংলা একটা গ্লামারলেস চিপ লেঙ্গুয়েজ….
ডিম সেদ্ধ খেতে খেতে পৌলোমী বলে উঠল, ইউ আর রাইট মম.. ইংলিশ বলতে না পারলে সোসাইটিতে প্রেস্টিজ থাকে নাকি.. গ্র্যান্ডপা সেটা বোঝে না.. আমার কোন বেঙ্গলি ফ্রেন্ড বাংলা বলে না.. আর ওখানে গিয়ে আমি যদি বেঙ্গলি বলি তাহলে ওরা হাসে.. বেঙ্গলি স্টাইলে মেকআপ ড্রেস সব আনস্মার্ট গাইয়া.. বেঙ্গলি কালচার ফলো করলে সোসাইটিতে প্রেস্টিজ লুজ হয়ে যায়। মম.. আর ওই যে আছে না টেগোরের সং.. সো বরিং মম.. ঘুম পেয়ে যায় পুরো.. কি করে বেঙ্গলিরা ওই গান গায় কে জানে
স্যান্ডউইচে বাটার মাখাতে মাখাতে রুমেলা বলল “ইউ আর রাইট বেবি.. বেঙ্গলি কালচার ফলো করলে জীবনে কোন প্রগ্রেস নেই।
অলকা জিজ্ঞাসা করল বৌমা রাতে তোমাদের জন্য কি রান্না করে রাখতে বলব..
রুমেলা বলল, ভালো কথা মনে
করিয়েছেন মা.. আজকে আমাদের সন্ধ্যেবেলা হোটেল রেনবোতে কাপল পার্টি আছে.. তাই আমাদের জন্য রান্না করবেন না..
তারপর আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, আচ্ছা শোনো আকাশ মুম্বাই থেকে আমার বান্ধবী লিলি আর ওর বর মানিক ডট আসছে। ওরা প্রবাসী বাঙালি হলেও কিন্তু বাংলা জানেনা.. ওদের সাথে সব সময় হিন্দি কিংবা ইংলিশে কথা বলবে..বাংলা বললে সবাই হাসবে ওখানে আমি লজ্জায় পড়ে যাব.. বাবার ছেলে তো তুমি.. মাঝে মাঝে ভুলে যাও কোন সোসাইটিতে আছো…
আকাশ খেতে খেতে জবাব দিল, ডার্লিং আমি তো তোমারও হাজব্যান্ড.. সেটা ভুলে যাচ্ছ কেন..
দিবাকর ভেতরে ভেতরে আঘাত পাচ্ছে এসব শুনে। বুকের মধ্যে কেমন যেন একটা চাপ অনুভব করছে।নিজের ভাষার এই হেনস্থা যেন আর সহ্য করতে পারছে না। ছেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, তুইও কি ওদের মতো ভাবিস ?
আকাশের খাওয়া হয়ে গেছিল। ন্যাপকিন এ হাত মুছতে মুছতে বলল, বাবা এখন যুগ পাল্টেছে.. বাঙালিয়ানা আঁকড়ে ধরে কিচ্ছু হবে না.. ওয়েস্টার্ন কালচার অনেক বেশি ঝকঝকে স্মার্ট.. আর ইংরেজি না জানলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার.. ঠিকই তো বলছে ওরা..
দিবাকর বললেন, আমি তো একবারও বলিনি যে ইংরেজি চর্চা করবি না।
কিন্তু তার মানে এটা তো নয় যে নিজের সংস্কৃতি মাতৃভাষা এগুলো ভুলে যাবি এগুলোকে অশ্রদ্ধা করবি.. আমাদের বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি কত সমৃদ্ধ.. এগুলো আমাদের আলোকপ্রাপ্ত করে , উন্নত মানসিকতার উত্তরণ ঘটায়….. সংস্কৃতিমনস্ক করে তোলে.. বাংলা এত মিষ্টি একটা ভাষা… বাঙালি শাড়ি বাংলা গান নাচ বাঙ্গালী অনুষ্ঠান বাঙালি খাবার বাঙালি পোশাক সবকিছুই কত সুন্দর কত মনের কাছের.. মাতৃভাষা তো
মাতৃসম.. তাকে কি অবমাননা করা উচিত..
রুমেলা বলে উঠল, বাবা প্লিজ , আপনি নিজের চিন্তা ভাবনা নিজের কাছেই রাখুন..আমাদের সোসাইটি তে একটা ক্লাস আছে.. সেটা মেইনটেইন করতে হয়..প্যানপ্যানানি বাঙালিয়ানা আর বাংলা সংস্কৃতি বাংলা ভাষা দিয়ে সেটা মেন্টেইন হয়না.. চলো আকাশ লেটস গো.. আর্য পৌলোমী তোমরা ঠিক সময় স্কুলে চলে যেও… আর মা কুককে বলবেন ওদের ভাই বোনের জন্য ব্রাউন রাইস , বয়েল ভেজিটেবিল আর চিকেন স্টু বানিয়ে দিতে..
আর্য বলে উঠল , কিন্তু মম আমার গ্র্যান্ডপার সাথে মাছের ঝোল, আর পটেটো পোস্ত খেতে ভালো লাগে ..আমি ওটাই খাব..
রুমেলা আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, দেখো আকাশ তোমার বাবা আমার ছেলের মাথাটা কেমন খেয়েছে.. এরপর কোন দিন বলবে ধুতি পাঞ্জাবি পরবো.. বস্তাপচা বেঙ্গলি স্টোরি বুক পড়বো..
ডিসগাস্টিং..
গজ গজ করতে করতে আকাশকে নিয়ে বেরিয়ে গেল রুমেলা।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে দিবাকর অলকাকে বলল, দেখ অলকা কি যুগ এসেছে.. আজ নিজেদের ভাষা সংস্কৃতিকে ওরা ব্রাত্য করে দিয়েছে.. কাল হয়তো আমাদেরও তাই করে দেবে ব্যাক-ডেটেড বলে। নিজেদের বাঙালি ভাবতে ওদের লজ্জা লাগে…
অলকা একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। মানুষটার কোথায় কষ্ট অলকা অনুভব করতে পারছে। যখন প্রথম বউ হয়ে এ বাড়িতে পা দিয়েছিল তখন মনে আছে অলকার, নববর্ষ কি ধুমধামের সঙ্গে পালন করা হতো.. শ্বশুর নিজে ছিলেন সাহিত্যিক মানুষ.. কত বিদগ্ধ মানুষজনের সমাবেশ হয়েছে এই বাড়িতে… অথচ আজ.. সবই ধূসর মলিন… মানতে হচ্ছে সব জোর করে..
দিবাকর নিজের ঘরে গিয়ে পুরনো সঙ্গী মারফি রেডিওর নব ঘোরালেন।
রেডিওতে অতুলপ্রসাদের গান বাজতে লাগলো,
মোদের গরব মোদের আশা
আ মরি বাংলা ভাষা …
দিবাকর আরাম কেদারায় শরীরটা এলিয়ে দিয়ে চোখ বুজে ভাবতে লাগলেন কত কি।
মাসিমা আছেন?
নিচে গেটে কারা যেন এসেছে। দিবাকর উপর থেকে দেখলেন পাড়ার মোড়ের পল্টু নিমাই রাতুলরা এসেছে।
উপর থেকে দিবাকার জিজ্ঞেস করলেন কি ব্যাপার রে… তোরা হঠাৎ..
মেসোমশাই চাঁদা চাই.. ৫০০ টাকা প্রত্যেক বাড়িতে.
কিসের চাঁদা .. দিবাকর জিজ্ঞেস করলেন
রাতুল বলে ছেলেটি বলল,পাড়ায় প্রোগ্রাম করব.. আজ আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস তাই বাংলা নাচ গান বক্তিতা হবে।
হাসি পেল দিবাকরের..একদিনের জন্য বাংলা ভাষার প্রতি এত মায়া মমতা আবেগ… অথচ সারা বছর বাঙালিয়ানাকে লোকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে।
টাকা না নিয়ে এরা ছাড়বে না। তাই বাড়ির কাজের লোক রঘুর হাত দিয়ে টাকাটা পাঠিয়ে দিলেন।
মনে পড়ে গেল আজকের দিনে ছোটবেলায় বাবার সাথে গিয়ে অনেক গরীব দুস্থ বাচ্চাদের শ্লেট পেন্সিল খাতা পেন সহজপাঠ দিয়ে আসতেন দিবাকর।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবলেন আর্য বা তারপরে জেনারেশন আদৌ কি জানবে বাংলা ভাষা সংস্কৃতি কত সমৃদ্ধ .. ঈশ্বরচন্দ্র,রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র ,বঙ্কিমচন্দ্র, মাইকেল মধুসূদন, কাজী নজরুল ইসলাম .. এনাদের কি আদেও চিনবে? পরবর্তী প্রজন্ম শুধু হয়তো পদবী টুকুই বহন করবে..
বইয়ের তাকের দিকে এগিয়ে গেলেন দিবাকর। রবীন্দ্রনাথের ছিন্নপত্রটা বের করে ডুবে গেলেন তার মধ্যে।