বৈরী গোধূলিতে
মৌসুমী মুখার্জী
একটা ভরসার কাঁধ ,,
যার ওপরে ভরসা ছিল সে নামিয়ে দিয়েছে হাত,
ধূসর পাণ্ডুলিপি সান্নাটা,,
থমথমে চতুর্দিক,
বিমুখী জীবন স্তব্ধ আজ ,,
মনেমনেই অকস্মাৎ……
জন্ম নিলো এক ভরসার কাঁধ।
তাকে ছুঁয়ে দেখিনি কখনো, গোধূলির অবসানে,
তাকে বলা হয়নি, ভরসা তুমি শেষ পারানির, আমার মন জানে।
তবু জানি আছে সে পোড়া মনে, দেহের ক্ষতে,
আছি সেই চওড়া বুকের চওড়া কাঁধের ভরসাতে।
হাহাকারী মন সাহারায় খোঁজে তারই সাহারা,,
বলা হয়ে ওঠে নি ওই কাঁধ বড় চেনা ,
তুমিই আমার মনের অন্তিম কিনারা।
অতলে খাদ কিনারা বিহীন, তুমি ছুঁয়ে থাকো ধার ঘেঁষে,,,
রক্ষা ক’রো আমায় চরম তলাতলের যা সর্বনেশে।
না বলা হয়নি সে কথা, হয়তো বা কোনোদিন হবেই না,
তুমি জেনে রাখো,, তবুও এ নয় অলীক কল্পনা।
সত্যি ভীষণ ভরসা পাই ,
কল্পনায় তোমার দ্বারে ছুটে ছুটে যাই।
কানে কানে বলি কত কথা
তুমি নিদ্রামগ্ন জানোনা আমার ব্যাকুলতা।
না চাওয়া না পাওয়া না কোনো আবদার শুধু ছুঁয়ে থাকো মন চিরন্তন
ভরসা থাক অন্তিম শয্যায় না যাবো , যতক্ষণ।
তারপর আমার জ্বলে যাবে দেহ, তোমারও মুক্তি যন্ত্রণার অবসান,,
আমি আজ ভরসার কাঁধ পেয়ে গেছি, জীবন হোক যতই ম্রিয়মান।