ভারত থেকে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সারথি-সুজাতা দাসের কবিতা “একটা আকাশ চেয়েছিলাম ”

591
সাহিত্যের অন্যতম সারথি-সুজাতা দাসের কবিতা “একটা_আকাশ_চেয়েছিলাম ”

একটাআকাশচেয়েছিলাম:-
সুজাতা_দাস

আকাশ কি উপহার পাওয়া যায় শ্রমনা? যেখানে শুধুই প্রশান্তির ঘনঘটা,
যদি রাখিস নতুন দিশা পথের শেষ প্রান্তে, আপাতভাবে উড়তে চাওয়া মনটা!!
ডানা মেলতে চাইবে হয়তো
দিক্বিদিক পথ ছাড়িয়ে——
শ্রমনা তুই কি জানিস,
ভেজা মাটির গন্ধ সে সময় মন খারাপটা বাড়িয়ে দেবে হয়তো!!
ছুঁতে চাইবে হালকা হাতে মন উড়তে থাকা মেঘের আস্তরণ ভেদ করে আরও আরও উপরে,
অদেখাকে দেখার এক আশ্চর্য নেশায়।

শ্রমনা তুই হয়তো জানিস না,
ফিসফিস কথারা বলতে চাইবে হয়তো পুরোটাই, অসময়ে নিজের মতো করে এক মন খারাপের সকালে——
সে সময় ও তুই আছিস আমার অনুভবে।
হাত ছুঁয়ে যাওয়া বৃষ্টির ফোঁটা মনটাকে প্রশান্তিতে ভরিয়ে দেবে সে সময়!!
ছড়িয়ে থাকা রঙধনুর ঐ রেখাটা, হেসে উঠবে কোনও অলস মুহূর্তে, নিজের সব রঙ ছড়িয়ে।
দিবি কী!! একটা আকাশ উপহার আমায় শ্রমনা?

যেখানে প্রচন্ড ঝঞ্ঝার পর এক আঁচল মেঘ, হেসে লুটোপুটি খাবে আমার সাথে!!
যেখানে অজস্র ভীড়ের মাঝেও, আলাদা করে খুঁজে পাওয়া যাবে আমার সত্ত্বাকে নতুন করে—–
যেখানে পাওয়া যাবে সহস্রাব্দের জীবনী,
যা তুলোট কাগজে লিখে রাখা আছে সযত্নে——
লালিত হয়ে লাল শালুতে।
শ্রমনা তুই জানিস না!!
জীবন এক অদ্ভূত আর অগোছালো,

যেখানে প্রতিনিয়ত শব্দের অর্থবহ সংলাপে, লেখা হয় জীবনের অনেক অজানা তথ্য—–
হঠাৎ অজস্র আলোর রোশনাই দু’চোখের তারাতে এক অদ্ভুত দর্শন নিয়ে এলো,
নিকষ কালো মেঘের বুক চিরে ছুটে চলা এক ধূমকেতুর লেজের মতো—–
এক উচ্ছলিত আনন্দে ভাসিয়ে নিয়েছিল আমায়,
সমস্ত চরাচর হেসে উঠেছিল এক নতুন ভাবনার আলেক্ষে—–
যা তোর দেওয়া উপহার না হওয়া সত্ত্বেও, শুধু আমারই হয়ে রইলো
শুধু একটা আকাশ যা আমি চেয়েছিলাম।।
কপিরাইট@1443 সুজাতা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here