কান্না লুকাতে বৃষ্টির খোঁজ
সুজাতা দাস
যে অনুভূতি আজও আমার শিরা উপশিরায় ছড়িয়ে আছে!!
তা’কি তোর অনুভবে ছিলো না কখনও শ্রমণা?
না’কি বুঝতে দিসনি হারাবি বলেই——
পরজন্ম বলে কিছু কি আছে শ্রমণা, অথবা প্রতিজন্ম?
আমিও জানি না—— সে’ভাবে মানিও না, কিন্তু সত্যিই তোকে চাই আমি পরজন্মে আর প্রতিজন্মে।
যদিও প্রচন্ড বর্ষায় তুই আমার অনুভূতিতে!! তবুও তোকেই চাই বর্ষায়,
তোকে চাই সেই সেদিনের মতো, যখন তুই সবার মাঝে থেকেও আমার—–
বুকের ভেতরের ব্যথারা যখন নিঃশেষিত হয়ে আসে শ্রমণা!! টুকরো টুকরো খুশির ঝলক যখন আনন্দে ভাসায়,
তখনও আমি তোর সাথেই!!
তবুও, তবুও হাতরে বেড়াই তোকে শ্রমণা,
হাতরে বেড়াই——-
যখন হারতে থাকি নিজের কাছেই নিজে।
আজও তুই অধরা শ্রমণা,
অধরা তোর জীবন যৌবন পাপ পুণ্যের অংশগুলোও——-
হারিয়েছিস তুই নিজের মতোই শ্রমণা!
শুধু রয়ে গেছে হাহাকার শূন্যতা আর বিষন্নতা,
যা তুই রেখেছিস শুধুই আমার জন্য আজও——
আরও আছে বাকি শ্রমণা,
আছে কিছু টুকরো টুকরো কথার গল্প যা শুধু অসময়ে আমাকেই কাঁদায়!!
আর অবচেতনে ভুলতে চাওয়া সব, চেতনে ফেরায়—–
যখন নিঃশব্দ আঁধারে আমি একদম একা শ্রমণা।
যারা ছেড়ে যায় তারা কেন আর ফেরে না শ্রমণা?
কেন? যদি ফেরে, সেই অপেক্ষাতেই কাটাতে হয় জীবন——-
না’কি লোভি হয় বাঁচার আকাঙ্খায়, এই জীবন!!
আসলে কি জানিস শ্রমণা,
যে চলে যায় সেই শুধু নিজেই যায়—-
বাকি সব ফেলে যায়,
যা বেলাশেষে একটা মানুষকে কান্না ঢাকতে শুধুই বৃষ্টির খোঁজ করায়।।
কপিরাইট@1443 সুজাতা