তারুণ্যের কবি শাহীন রায়হান অসাধারন একগুচ্ছ কবিতা-

887
তারুণ্যের কবি শাহীন রায়হান অসাধারন একগুচ্ছ কবিতা-
কবি শাহীন রায়হান

অব্যক্ত যন্ত্রনা

                      -শাহীন রায়হান

তোমাকে পাওয়া পরীক্ষার খাতায় শূন্য পাওয়ার চেয়েও
অধিক যন্ত্রনাদায়ক
গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের মতোই এ যন্ত্রনা
বয়ে চলেছি নিরন্তর
ক্রস চিহ্নের মতো নিজেই নিজেকে হনন করেছি
মেনে নিয়ে তোমার অবৈধ দখলদারিত্ব
প্রনয়ের পাপ চিহ্নে গড়ে তুলেছি যন্ত্রনার প্রাসাদ
যেখানে উপড়ে ফেলা চোখ হয়ে ঝুলে আছে
কতগুলো উন্মুক্ত দরজা জানালা ভেন্টিলেটর
ইচ্ছেগুলো বুকের খাঁচাটায় আজ আর নেই
শুধু আছি ক্লান্তিহীন অব্যক্ত সর্বগ্রাসী
যন্ত্রনাকে সাথী করে, রয়ে যাব আমৃত্যু।

খোকার খাঁচা

              – শাহীন রায়হান

খোকাটার খাঁচাটা ভরা ছিলো পাখিতে
স্বপ্ন ছুঁয়ে যেত রোজ তার আঁখিতে
আঁখিতে তারাগুলো ঝিকিমিকি জ্বলতো
পাখিদের সাথে খোকা কত কথা বলতো।
.
এই কথা সেই কথা নানা কথা চলে
তবু পাখি রোজ কাঁদে কথা নাহি বলে
অবশেষে খোকাটার নাড়া দেয় মন
মনে ভাবে পাখিদের ঘর-বাড়ি বন।
.
যেই ভাবা সেই কাজ খাঁচাটা খুলে
দুই হাতে পাখিদের খোকা নেয় তুলে
সবুজের সমারোহে পাখিদের ছেড়ে
দৃঢ় পায়ে ফিরে আসে দুটি হাত নেড়ে।
.
সেই থেকে পাখিরা সুখ পায় মনে
ডানা মেলে উড়ে যায় নীলগিরি বনে
কিচিকিচি ডেকে যায় বন লতা গাছে
খোকা দেয় হাততালি পাখিরা নাচে।
.

 বাঁচাও শিশু বাঁচবে দেশ

                               -শাহীন রায়হান

যে শিশুটি ফুল কুড়িয়ে ফুলের মালা গাঁথে
কানামাছি বৌ ছিঁ খেলায় সবুজ গাঁয়ে মাতে
চোখে ভাসা স্বপ্নগুলো বুকের মাঝে বাড়ে
বিশ্ব জয়ের অবাক নেশায় আকাশটাকে ফাঁড়ে
বাবা মায়ের গর্ব ওরা দেশের গর্ব বটে
আগামী দেশ স্বপ্ন আঁকে ওদের স্মৃতি পটে।
..
পাশবিক এই সমাজ এখন পশুত্বতে ভরা
কোমলমতি শিশুর বুকে আঁচড় কাটে ওরা
অবুঝ শিশু গুমরে কাঁদে লজ্জাতে মুখ ঢাকে
স্বপ্নগুলো বেস্তে দিয়ে মরার ছবি আঁকে
ধর্ষিত হয় লাঞ্চিত হয় বন্দী থাকে ঘরে
পড়াশোনার পাট চুকিয়ে যায় নীরবে ঝরে।
..
কোমলমতি অবুঝ শিশুর এই যদি হয় শেষ
গড়বে কারা স্বপ্নে দেখা সোনার বাংলাদেশ।
আছো যত শুদ্ধ মানব আজকে খোলো দ্বার
দেশ বাঁচাতে দাও ফিরিয়ে শিশুর অধিকার
মানুষ রূপী হিংস্র পশুর জীবন করে মাটি
দেশকে করো নতুন করে শুদ্ধ পরিপাটি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here