যাও পাখি
সাহানা সুলতানা
শীত আসার আগেই জেনে গেছো,
এখানে -এ ধারা তোমার অনূকূলে।
তবে এতদিন কোথায় ছিলে,
কোথায় ছিলে, কোন্ অন্তঃপুরে?
কেন আসো এত দূর পথ বেয়ে-
তোমার কি কোন কষ্ট হয় না পথে?
শুধুই কি জীবিকার অন্বেষণে,
নাকি বুক ভরা ভালোবাসা এ পরাণে।
বিলিয়ে দিতে প্রিয় সঙ্গীটিরে,
জীবন সংগ্রামে প্রজননের তরে।
সৃষ্টিকর্তার নিয়ম বোঝা,বড় দায়,
সকল জীব অনূকূলে মহান সহায়।
ছোট পাখি কোথায় মিলবে দুজনা
তা তিনি আগেই করেছেন নির্ধারণা।
প্রজননের প্রয়োজনে সাগর ছেড়ে
মাছ চলে আসে নদীর জলে।
ব্যাঙ ঘ্যাং ঘ্যাং করে ডাঙ্গায় চড়ে
যখনই আগমন বার্তা আসে বর্ষাকালে।
সকল বাঁধা তবে কেন মানবকূলে
চোখে জল আসে কিছু বলতে গেলে,
বুক ফাটা হাহাকার নিয়ে কেন বাঁচে,
তার চেয়ে ঢের হতো ক্ষণস্থায়ী জীবন পেলে।
মানবের প্রতি কেন এত নিয়ম কানুন
এত উন্নত মস্তিষ্কেরই কি-বা ছিলো প্রয়োজন।
জনম নিবার কালে জানতাম যদি মানুষ বানাবে
তাহলে অনুরোধ করতাম ছোট কীট বানাতে।
দু’দিনের জীবন পেতাম
হেসে খেলে দিন কাটাতাম
ছোট পাখি, ও ছোট পাখি,নীরব কেন আঁখি,
চঞ্চলা চঞ্চু মাঝে, কি কথা আছে,,
যাওয়ার আগে বলে যেও,,
কি সুখ পেলে এ ধরা মাঝে?
তোমার ডানায় যে সুখ বিরাজ করে,
শুধু এটুকু সুখ দিয়ে যেও, আমার অন্তরে।