আত্ববিশ্বাসী ছায়া
রোজিনা রুমি
রাজপ্রাসাদের সদর দরজা একদিন লালনীল বেগুনী লাইটে আবৃত ছিল,
আর লালগালিচা বিছানো ছিল যতদূর হেঁটে যাওয়া যায় সেই মূল ফটকের দ্বার পর্যন্ত।
কী অলৌকিকভাবে! নাকি যাদুর কাঠির স্পর্শে খুলে গেল বন্ধ দরজা!
ভিতরের রহস্যঘেরা স্বপ্নপুরী কেমন যেন সেদিন থমথমে কিন্তু ক্লান্তির ছাপ ছিলো ,
চারিদিক নিস্তব্ধতা বিরাজ করছিলো।
এক পৃথিবী সমান স্বপ্ন নিয়ে একদিন সেই স্বপ্নপুরীতে ছায়া’ র আগমন,
দূর্ভেদ্য সব কঠিন থেকে কঠিনতর অন্তরযগ্য।
জীবনতৃষ্ণার অনির্বান পিয়াসা পূরণে সে বদ্ধ পরিকর।
একদিন সব জয় করবে এমনি বাঞ্চা ছিলো মনে ।
মনের সব বাসনা পুঞ্জি করে এগোতে লাগলো অন্দরের পথে,,
ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে হতে সফলতার শিখরে পৌঁছাতে লাগলো।
আর তখনই ঘৃন্য মানসিকতার আবির্ভাব হলো খুব দ্রুত,,
তাকে আর সামনে আগাতে দেওয়া যাবেনা বলে পণ করলো কুজনেরা ।
যতই সামনে যেতে চায় ওরা পিছনে টেনে ধরে।
আত্নবিশ্বাসী ছায়াটাকে ভাসিয়ে দিতে চায় গঙ্গার জলে,
গহীন গঙ্গার নোনাজলে ভেসে যায় হিংসা ক্রোধ ,
ব্যকুল বাঁশির মর্ম সুরে ফিরে আসে সুখ বোধ।
কষ্টের দামে কিনে নেয় অবারিত শোক,
সব অপশক্তি কে জয় করে নেওয়ার প্রবৃত্তিতে
তবুও ছায়া এগিয়ে যায় সম্ভাবনার পথে।