নত না করা অবোধ
বাদল কৃষ্ণ বণিক
বেহুদাই অভিমানে আছো ,
ভিতরের মর্মর শব্দটি শোনি বারবার
রাত যখন মিশে যায় চাঁদের জোছনায় ।
মর্ত্যজীবন্তের নিশানা খুঁজতে গিয়ে –
যৌবনা বর্ষার জমিতে পা রাখতে যেমনি
তেমনি বুক পর্যন্ত উপচে পড়া জলের মত
অভিমানের মৃত্যু কামনা ,
চোখেমুখে তোমার শত অস্বীকার করা আঁচ দেখি,
দেখি, ভিতরকার স্বীয় বিবেকের কাছে পরাজয়
মনের কাছে মন’কে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে লড়াই
তবুও, হার মানতে হয় শতবার !
কাছে আসার স্ফুরিত সুখ, – তা চাও,
কাঙালপনা বুকে ফেটে চৌচির –
চৈত্র পাঁজরে তৃষাতুরা কাঠফাটা রোদে,
তবুও পরাজয় হতে চাওনা, প্রিয়
অপেক্ষা শতব্যস্ততায় করো – জানি, তাও
আপেক্ষিকতা নয়তো ?
মিষ্টি হেসে, প্রশ্ন করো
অঝোর প্রশ্নবাণে, খুঁজে নাও
আমি আছি তোমার অপেক্ষায় – কিনা ?
আমার উপরাজ্যে কারো আবাসন হলো কিনা?
মুঠোফোনে বারবার চেয়ে দেখো,
প্রিয় নাম্বারটির মিসকল কিংবা ক্ষুদে বার্তা ?
আমি জানি, শত অস্বীকার করোনা কেন
আসবেই তুমি, বারবার আসতেই হবে
চোখ বুলিয়ে দেখো একবার, – পুঙ্খানুপুঙ্খ
যে হাত চিরজন্মের একবার হলেও সুখস্পর্শ
পেয়েছিলে, দ্যুতিময় পথচলার ।
শত ব্রহ্মজ্ঞ, বৈরাগ্য, সংসারী কিংবা উদাসী
সব যেন তোমাতেই একাকার ।
আমার স্বারকে তোমার নাম ছিল, আছে
না থাকার কোন ব্যথাহত ব্যাখা নেই তোমার।