কথা দাও আবার আসবে
বিজিত গোস্বামী
“”””””””””””””””””””””””””””””””
দূরে বহুদূর ঝিঝির ডাকে একরাশ দুঃখ বসে কাঁদে
কথা ছিল আমলকি বনে বাসর কুঞ্জ সাজাবে মালা
অভাগা শাখা প্রশাখা বিষবাষ্প গায়ে প্রতীক্ষা করে
কে দিল আগুনজ্বালা এ প্রেম সারা শরীরময় তীব্র
এক দহন—কেবল বিচ্ছেদ জ্বালা!
এ কাহিনীর পাত্র-পাত্রী পরিচিত অন্ধকারে আজো
অপেক্ষায় অতীত ছেড়ে ভবিষ্যতের চাদর গায়।
সেদিনের মতো কথা ছিল আবার আসবে নিশ্চিত এক সন্ধ্যা
আকাশে একফালি বাঁকা চাঁদ ছুঁতে চায় এ শরীর
চারিদিক সুনসান নীরবতা অবাধ্য এক সময়
দূরে শ্মশান চিতায় ত্রিশ ঊর্ধ্ব চঞ্চল শরীর
টগবগিয়ে জ্বলছে ফুটন্ত শ্বাস;কালো উড্ডীন
ধোঁয়া কুণ্ডলী আঁকাবাঁকা পথে
আমলকি গাছে এই প্রথম এক বিষন্ন নিরবতা!
এই প্রথম বিপন্ন এক নারী প্রতীক্ষায় প্রেমিক বিরহে
আগুনের লেলিহান দাবদাহে পুরুষ; সত্তা হারাচ্ছে তার
এক অজানা বিস্ময় শহরে; যেখানে যেতে হয়
মৃত্যুর পরে দেহ রেখে দেহ ছেড়ে
নিঃস্ব নিঃসঙ্গ যতো গলায় নিঃশব্দ ভ্রুকুটি অভেদ শব্দ।
কে বলে,আবার ফিরে আসা যায়?
কে বলে ,প্রেম অপূর্ণ এক অনুভূতি:মহা আনন্দে শ্বাসে শ্বাসে
আমলকি বন দেবে সাড়া!
নারী-পুরুষ এভাবেই চক্রাকারে আসে যায়
জীবনের গানে পৃথিবী সাজায়—‘আমায় ডুবাইলি রে
আমায় ভাসাইলি রে,অকুল দরিয়ার বুঝি
কুল নাই রে’!
ধারাবাহিক নাটক এভাবেই বেশ জমে উঠে—
অভিনয় শেষে বাড়ি যেতে হয়;যেমনটা মৃত্যুর পর,
নীরব ঠিকানায়;সব ছেড়ে উলঙ্গ এক শরীরে।
আমি আবার আসিব ফিরে;আমলকি বনে—
প্রেম মধুময় সজ্জায়।