অপেক্ষা
দিলু রোকিবা
_/___/____/____/
সেবার ভীষণ শৈত্য প্রবাহ হয়েছিল তোমার মনে আছে কি?
আমি বার বার একটি গাড়ির শব্দের অপেক্ষায় থাকতাম-
কখন জলন্ত সিগারেটের ধোঁয়ায় ঘন কুয়াশা ভেদ করে ঘরে আসবে….
ঝুল বারান্দায় জানালার কপাট বন্ধ!
কি করে যাই এই পৌষের হিম শীতল রাতে!
অপেক্ষা আর অপেক্ষা!!
এখন হৃদয়ে জমে আছে বরফ টিকেট।
প্রেক্ষাপট পরিবর্তন …
দূরে শিশিরের শব্দের টপ টপ ঝরে পড়া কান্নারা এখন আমার রাত জাগার সাথী।
তুমি তো আছো আমার অস্তিত্বে আমার দেয়াল ঘড়ির কাটা টুং টাং শব্দে জানান দিলো রাত দু’টো বাজে।
আমি খুঁজি তোমার সেই ঘন চুলের গন্ধ আর শীতের ওম পরশ টুকু।
আর একবার মাতাল হতে চাই ঐ হিজলের ফুলের সাথে ….আর আছে এক পরম কষ্টের যন্ত্র সি ,
প্যাপ মেশিন,আমৃত্যু চলবে লড়াই ওর সাথেই…. তুমি জেনে গেছো তা–
এখন ঐ ডালে বসে শীতে কুঁকড়ে ঝিমুচ্ছে রাত জাগা ডাহুক পাখি ঠিক আমার মতো।
ওরাই যে এখন আমার নিশাচর সখী।
এই নগরীতে নেমে এসেছে নিশুতি দেবদূত- না কি মোড়ের ঐ ল্যাম্পপোষ্টের লিয়ন বাতি!
ঐ সবুজ গালিচা থেকে কি বেরিয়ে আসতে পারবে? না তা ,যে হবার না —
আমি যে সেই রাতের তোমার লাবণ্য,আর তুমি আমার অমিত।
শেষ পর্যন্ত আমি এখন সাদা সফেন শুভ্র বসনা শীতের সারথী কন্যা।
আর তুমি হলে এই শেষ রাতের এগারো সিন্ধুর যাত্রী।
আমার গায়ে এখনো সেই সিগারেটের দগ্ধ চিহ্ন টুকু নিয়ে আছি।
তোমার কবিতার খাতা য় আর গানের সুরের মাঝে , ছাদে দেয়ালে,
আর ঐ অট্রহাসির ঠোঁটের কোণে লুকিয়ে রাখা বাঁকা চাঁদের বুকে এক কৈবর্তী হয়ে।
ভোর হয়ে এলো বুঝি- একটি স্বপ্ন এসে বললো , এবার ঘুমাও।
কি হবে এই শৈত্য প্রবাহের রাতের দিবা – নিশি কাব্য হয়ে?
আমি আজো অপেক্ষায় আছি তোমার জন্য এই পৌষের হিম শীতল শেষ প্রহরে….অপেক্ষা … অপেক্ষা…