কামনার চোখ
সৈয়দা কামরুন্নাহার শিল্পী
অন্ধকার অন্ধকার
চারদিক পঙ্কিল ছেয়ে
আসছেএজগত পুষ্প
পল্লবে মাখামাখি সৌরভ
পুত ও পবিত্র।
নিখিল ভুবন আজ আমার
কণ্ঠস্বর কোটি কোটি
প্রতিবাদের মরুর তৃষ্ণা
বুকে চীনের প্রাচীর।
ওই পারে নবজাগরণের
নবীন ও মধ্যবয়সী যুবক
দাঁড়িয়ে।
আমি আনন্দ-উল্লাসে
কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে এ
প্রাচীর ভেঙে দিতে চাই।
শতাব্দির শত অন্ধকার
দ্বাদশীর চাঁদের আলোয়
স্বচ্ছ পানিতে উদিত
সূর্যের আলোর মত
চেয়েছিলাম।
দিতে পারেনি পল্লবে
পল্লবে বাতাসে ছড়াতে
পবিত্র সুবাস —
ওদের চোখে লোভ
কামনার অতোল তলে
মধ্যবয়সি নারীদের
পৌড়ানোর কামিনীর
কামনার স্বাদ খুঁজে
ফেরে।
এ ব্যথার নিশিথ
তিমিররাত্রি বেদনায়
বিহ্বল বেকুল কন্ঠে বলে,
পথ দেখাও প্রভু এখনো
তো সেই কুটিল আরব
আঁধার যুগের তিমির
নিশিতে।
ভ্রান্তিতে ভরা এ হৃদয়
তৃষ্ণা মাতৃত্বের হাহাকারে
মেটাতে পারেনা।
ওদের বিষদাঁত ভেঙে
দাও প্রভু ওরা পথ ভ্রষ্ট!
ওদের কামনার চোখে
সিসা ঢেলে দাও।
শিক্ষিত কাকে বলে
জানে না মানে না বয়স
সম্মান বংশমর্যাদা না
কিছুই মানে না।
ওরা বর্বর কামনার ঘোর
আজ চারদিকে
মরুভাস্কর।
জাগো নবীন জাগো কবি
ওদের কামনার চোখ হতে
মুক্তি দিতে—