কেউ নেই তার
রুমকি আনোয়ার
কিছু রক্ত ,কিছু বমি হাতে পিঠে কিছু ছ্যাক
শত ছিন্ন হয়ে থাকা সালোয়ার ,কামিজ কি ছিল অপরাধ তার ?
কোন এক অসতর্ক মুহূর্তে ভাতটুকু কেবল জাও হয়ে গিয়েছিল ,
সুদে আসলে সমাজসেবিকা গৃহকর্ত্রী মিটিয়ে নিয়েছে তা ।
গ্রামের সরলাকিশোরী চার দেয়ালে বন্দী হয়ে কেবলি মাথা খুঁড়ে মরে ,
অসংলগ্ন ,অনাহুত প্রলাপ ,” বাজান আমারে লইয়া যাও, “
সময়ের প্রতিধ্বনি অন্তরভেদ করে না কারো
কেবল রাত্রির বুকে জমাট বাঁধে বিষন্ন অন্ধকার ।
তর্পা নামে অ্যালসেসিয়ান কুকুর তাকে পরিষ্কারে অঢেল শ্যাম্পু
নিজের চুলে জট বেঁধে যায় কে দেখে তা খুব দয়া হলে পাঁচ টাকার তেল ,
শখের বিড়াল ব্যানুনের অধিকার আছে সোফাসেটে গা এলিয়ে দেয়া
আর কাজের মেয়ে বলে কাছে ভিড়লে শুনতে হয়
তোর গায়ে দুর্গন্ধ কেন গোসল করিস না ?
চুরি করে একদিন শ্যাম্পু দিয়েছিল কুকুরের মত ঘ্রানশক্তি তাদের
বেদম মার খেতে হয়েছিল ।
ধান কি পেকেছে বাপ কি আসবে নিতে শুধু অপেক্ষার প্রহর গুনে ,
সেই কবে বাপের লগে যাত্রাপালায় গিয়েছিল ” নবাব সিরাজউদৌলা ”
শেষ ডায়ালগটুকু বড় সত্যি হয়ে বাজে আজ ” হায় ! অভাগা দেশ “,
জীবনের তাবৎ সত্য যেন এখানেই লুকিয়ে আজ ।