গর্ব ও গৌরবের অহংকারে কবি-গাজী মোসাঃ লতা ইসলাম লিখেছেন কবিতা “॥ আত্মধ্বনি ॥”

466

আত্মধ্বনি

               গাজী মোসাঃ লতা ইসলাম

——————————————

একটি কবিতা লিখো, হে কবি!
যদি লিখতেই হয়,
লিখো অন্যায়ের বিরুদ্ধে
সত্যের স্লোগান নিয়ে।

অমৃত বাণী বর্ষণে তুলে ধরো
গুপ্ত ইতিহাস অন্য কিছু নয়।
যাহা জানতে পারেনি আজও প্রজন্ম।

নবীন জনতা মধ্য-বয়সী নারী
কী করে হারালো সম্ভ্রম সে দিন
পিতা, ভ্রাতা আর ভিটে-বাড়ি।
কিসের আয়োজনে বলিদান দিয়েছে প্রাণ —
শত শত স্বজন গেছে ছাড়ি।

পথের সন্ধান দিতে তুমি পারো হে কবি !
কালির আঁচড়ে তুলে ধরি
কাদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজ পথ বিজয়ের নিশান গড়ি।
সেই মহান মুক্তিযুদ্ধের সত্যের প্রষ্ফুটিত ছবি —
কি করে নিষ্পাপ শিশু নির্যাতন থেকে পায়নি প্রাণ ফিরি।

প্রিয়জন হারা শত মায়ের ক্রন্দন শুনতে পাই যেদিকে তাকাই
পৃথিবীটা যেনো নিঃসন্দেহে বোবা পাথরে পরিণত হয়েছিল সে দিন।
দিনের অলস বেলায় হারিয়ে গেছে কতোদিন।
চুপ করে বসে থেকোনা আর তুলে ধরো হে নবীন
কি ছিলো তাদের অপরাধ?
ভাষার জন্য জীবন বিপন্ন
আমৃত্যুর মাঝে ধন্য, করে জীবন তুচ্ছ।
আজও কুড়ায় তাঁরা ফুলের গুচ্ছ।

একটি কবিতা নতুন করে সাজিয়ে গুছিয়ে দাও —
স্বাধীন দেশের স্বাধীন জাতি
অন্যের ঘরে কেনো জ্বালায় বাতি?
কি করে আজ চিনবো হায়
হয়েছিলো কোন আপনজন
কে ছিলো মোর স্বাধীনতার সাথী?

যখন শুনতে পাই যতোদুর
বেজে ওঠে কানে অমর একুশের গানে,
হারানোর শোকে আজও কেঁদে উঠে প্রাণ।
শতো মায়ের আর্তচিৎকারের সুর,
কী করে ভুলিবো সে গান?

Content Protection by DMCA.com

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here