একান্তে আমি
——–—// মিনু আহমেদ
খুব অনুভব করছি তোমার জ্যোৎস্না ভরামুখ।
অমাবস্যার যৌবনে ঢাকা
প্রশস্তময় বুক।
আজকাল তোমাকে একেবারেই-
দেখা যায় না চোখে।
নিষ্প্রভ প্রাণে ম্লান-অবম্লানে-
সিক্ত আঁখি শোকে।
তাইতো আমি ক্লান্ত মনে—চেয়ে থাকি রোজ।
তৃষ্ণা মিটাই মনাঙ্গিনার—করে তোমার খোঁজ।
আকাশের ঐ নীলে খুঁজি বেড়াই তোমার অট্টহাসি।
দ্বিপ্রহরের প্রহরগুণি—শুনতে রাখালের বাঁশি।
তোমার উপস্থিতি সাফ করে দেয় মনের অস্পষ্টতা।
ঈষৎ স্পর্শে ভুলে যাই দুখ,শত ক্লান্ত বিষন্নতা।
তোমার যৌবন জুড়ে ছিলো দীপ্ত চাঁদের আলো।
তুমি আসলে আমার ঘর হারায়-বেদনার কালো।
আজ আমার পুরা ঘর চাঁদের আলোয় আলোকিত।
যৌবনে চাঁদ টইটুম্বুর নীড় বিভোর দৃষ্টি পলোকিত।
তোমার আঁখে অদৃশ্য আমি- চাঁদের আলো ফাঁকা।
শূন্যতার চাদরে এ জীর্ণ দেহখানি
-অমাবস্যায় ঢাকা।
তাতে দুঃখ নেই—জানি,তুমি অনেক দামি।
তাইতো আজো তোমার অপেক্ষায় একান্তে আমি।