ভোর হবেই
লাকী ফ্লোরেন্স কোড়াইয়া
স্তব্দ পৃথিবী-
নির্বাক-ধূসর দৃষ্টিতে
হানা দেয় মৃত্য ছায়া,
এক বিভীষিকাময় দুঃস্বপ্নের
মরণ ছোবলে নাভিশ্বাস নিয়ে
ছুটছে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীবগুলো।!
যে করেই হোক ফিরতে হবে
নিজেকে লুকাতে হবে
চার দেওয়ালর মাঝে!
জীবন নাশকারী এক অদৃশ্য
দানবের বিরুদ্ধে অস্রবিহীন যুদ্ধে
অসহায় আদম সন্তান!
কি দরজায় কি আপনার মাঝে
সন্দেহের তীর প্রিয়জনের ‘পরে
মৃত্যুদূত কাকে তাড়া করছে
সে খবর আজ কে-ই রাখে?
বাঁচো নিজে,নিজেরে আড়াল করে যতক্ষণ যায় বাঁচা,
এমন মৃত্যু কে চায়?
বলো কে চায়?
প্রিয়জন যেথায় ভয়ে
মুখ ফিরায় দুরে সরে যায়!
কোন অভিশাপ আজ
নীলগ্রহের ‘পরে,
আঘাতের পর আঘাত হানে
পৃথিবীর সকল শুভচিন্তা,
যত শুভশক্তি আজ এক হয়ে লড়ে অশুভশক্তি প্রতিহত করিবার তরে!
ভালোবাসার নিবিড় স্পর্শ
চেনা নিঃশ্বাস প্রাণঘাতী
ভাইরাস আজ,
দুরে সরে যাও,দুরে রও
কী এক বিষের সেল
আত্মার সম্পর্ককে বিদীর্ণ করে!
রঙিন পৃথিবী স্থবির আজ-
রোজ রোজ বাতাসে বিষাক্ত কার্বন ড্রাই অক্সাইড ছড়ানো যানবাহনগুলো নির্জীব হয়ে
মুখ থুবড়ে পরে আছে,
এই ভয়ানক,হৃদয় বিদারক
দৃশ্যের অবসান হবে কবে?
এই দুঃস্বপ্নের রাত-
কবে হবে শেষ?
বিভীষিকাময় রাত্রি কাটে
অনাগত ভোরের প্রতিক্ষায়,
দ্বিপ্রহর রজনীর নীরবতায়
ভেসে আসে চিরচেনা কন্ঠ,
রাতজাগা শকুন্ত ইঙ্গিত দেয়
উজ্জ্বল- স্বর্ণালি সকালের।