সালাম কর্মবীর
———– সেক জাহেদ উল্লা
May Day কিংবা মান্না দে –
সব মিলে মিশে একাকার ।
শ্রমদিবস তাৎপর্য হীন –
দেশ জুড়ে হাহাকার ।।
ক্রান্তিকালে দেশের শ্রমিক –
হাঁটছে ,ফিরছে খালি পায় ।
পেটে তার ভাত নেই –
কে নেবে তার দায় ?
সামনে“করোনা”,পেছনে ক্ষুধা –
যাবে সে কোন দিকে ?
শহরের সেই অস্থায়ী চাকরি –
কবেই হয়েছে ফিকে ।।
পেটের জ্বালা বিষম জ্বালা –
এড়ানো যায় না তাকে ।
ভরা পেটে এসব কথা –
কজন ই বা খেয়াল রাখে ?
মরন যদি হতেই হয় –
হোক, প্রিয়জনের সাথে ।
তাইতো শ্রমিক বাধ্য হয়ে –
নেমে এসেছে রাজপথে ।।
গন্তব্য তার পিতৃ-ভিটে –
যেথায় রয়েছে আপনজন ।
মরলে যারা আগুন দেবে –
কিংবা করবে দাফন ।।
কেউ ফিরেছে, কেউ ফেরেনি –
নেই যে হিসেব তার ।
যারা যোগায় বাঁচার রসদ –
তাদেরই নেই,বাঁচার অধিকার ।।
যারা ফিরল, আটকে রইল –
আপনের মধ্যেও পর ।
ছোট্ট ঘরে জায়গার আকাল –
গাছের ডালে বানালো ঘর ।।
গড়াই যাদের জীবন মন্ত্র –
তারা ভাঙ্গে না কিছুতেই ।
ভাঙ্গার চেষ্টা যতই হোক –
ব্যর্থ যে তা হবেই ।।
ইতিহাস সাক্ষী তাদের শ্রমে –
উন্নয়নের ইমারত গড়া ।
দিগ্বিজয়ীর রথ বেলাগাম –
শ্রমিক ই তার ঘোড়া ।।
তাজমহলের কটা পাথরে –
পড়েছে শাহজাহানের হাত ?
গড়ে শ্রমিক , রচে কৃষক –
রাজা করে বাজিমাত !
ঘাম দিয়ে যার সিঞ্চিত হয় –
কঠিন মাটির বুক ।
সেই থাকে রে আধপেটা –
ভরে না তার ভুখ ।।
পারিশ্রমিক দিয়ে মাথা কিনেছে –
তথাকথিত যারা ধনী ।
একাত্ম না হলে বুঝবে কি –
সমাজে প্রকৃত কে মানী !
যুগ যুগ ধরে প্রতারিত তবু –
ফেরাতে পারে না মুখ ।
সৃষ্টির কারিগর সৃষ্টি করেই –
সৃষ্টিতেই যে তার সুখ ।।
দুঃসময়টা পেরোলে আবার –
শ্রম এই ভুমিকেই দিও ।
কর্ম যজ্ঞের বীর সৈনিক –
আমার সালাম নিও ।