“নদী তুমি নিরবধি ”কবিতাটি লিখেছেন সভ্যতা গড়ার অন্যতম সারথি কবি  মিনু আহমেদ

468

নদী তুমি নিরবধি

                          মিনু আহমেদ

নদী তুমি নিরবধি
তোমার স্রোতের ধারা বহে চলে সীমাহীন অন্তর।
তোমার শেষ ঠিকানা কোথায়
কোথায় শেষ প্রান্তর?

নদীও নারীর মতো চলে এঁকে-বেঁকে
ঝর্ণা থেকে শুরু তার সাগরে মিশে।
রূপে-গুণে অনন্য সে-চোখ যে নেয় কাড়ি।
মাঝে মাঝে নারীর সাথে-নদীর হয় আড়ি।

এঁকে বেঁকে চলো তুমি ছন্দে ছন্দে যাও
রূপের সুধা পান করিয়ে সাগরে হারাও।
যৌবনে তোমার উতাল-পাতাল ঢেউয়ে
কাকে নিয়ে ঢেউ খেলাও,কাকে নিয়ে ভাসাও।

ছন্দে ছন্দে নেমে আসো পাহাড়ি ঢলে
পাথরে পাথরে স্নান করিয়ে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা জলে।
এঁকে চলো আল্পনাতে বয়ে চলো কল্পনাতে
আরো কতো জল্পনা,কতো জল শুকিয়ে গেলো
ভালবাসার জলাধার রুখে দাঁড়াতে কোথায় পাবে সান্ত্বনা।

বালুকাময় বাটার সামনে হাজার নদী আজ প্রাণহীন!
মনুষত্বের মৃত্যু ঘটছে ঘাটে ঘাটে।
আছে কতো দূর কোথায় তোমার চঞ্চলতা
কোথায় তোমার জোয়ার? ভাসো তুমি
ভাটা নিয়ে আসো।

দুইধারে কাশফুল সারি সারি হাসো
নূপুর পায়ে চলো তুমি ছন্দে ছন্দে বাসো
নদী তুমি নিরবধি সীমান্তে সীমান্তে তোমার প্রান্তর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here