মুক্তি
নাসরিন জাহান মাধুরী
যখন চলে যাই প্রাঙ্গণের সবুজ নরম ঘাস আর ঘাসফুল
ডিঙিয়ে তখন তাদেরকেও বলে যাই যাচ্ছি আমি,
দুধ সাদা ছোট্ট প্রজাপতিরা ঘাসফুলেদের সাথে যাদের মিতালি
তাদেরকেও বলি চললাম কিন্তু!
ঐ পাতাবাহার হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকে তাকেও বলে যাই
পথের পাশের গেটগুলোতে গা এলিয়ে নুয়ে থাকা বাগানবিলাসদের বলি চোখের ইশারায় গেলাম।
এইমাত্র উদিত সূর্যকে বলি, ভোরের বাতাসের ঝাপটাকে বলি
গেলাম আমি গেলাম, ভোরের পাখিদের ডাক দিয়ে বলে যাই,
তারপর চলে যেতে যেতে থমকে দাঁড়াই,
ভেবে পাইনা কোথায় কেন যাচ্ছি—
তবে যে সবাইকে বললাম যাচ্ছি!
ফিরবো কিভাবে আর–
ওরা যে হেসে কুটিকুটি হবে আমার প্রত্যাবর্তন দেখে!
আমিতো আর ফিরতে চাইনা ঐ প্রাচীন গুহার অন্ধকারে!
সামনেও পথ পাইনা যাবার, যেখানে যাওয়ার কথা ছিল
সেখানে যাওয়ার পথগুলো যেনো গোলকধাঁধা–
পথেপথে বিছানো বিষাক্ত কাঁটা—
ঘুরে ঘুরে এক পথেই বারবার ফিরে আসি,
বের হোতে পারিনা আর—
কেমন করে বলি তাদের আমার চাই মুক্তি–
ঐ গুহা থেকেও ঐ গোলকধাঁধা থেকেও।