আহা রাজা
বিকাশ চন্দ
ইতিহাস জানে হরিপদ গোলাম হোসেন অন্য সব
জানে শিরদাঁড়া ভেঙে কেমন রক্ত ক্ষরণ,
কেমন করে কেঁচো হতে হতে মাটির গোপন আশ্রয়ে—
জায়গা মতো ঠিকঠাক বেঁচে থাকা অস্পষ্ট অন্যেরা,
মায়া বনে মুখ লুকিয়ে দেখে নিষ্ঠুর রাজ্যপাট
অনুযোগ হীন কিছু রক্তাক্ত শরীর এদিক ওদিক—
ঘাস মাটি জল অরন্যে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে,
অন্ধকার সময় হলেই হিম রাত জাগে উষ্ণ আঁচলে।
জবরদস্তি না বলা কথা গুলো বয়ে নিয়ে যায়
অলীক সময়ের তোষামুদে বাহক অনর্গল,
বলে যায় চুরমার যতিচিহ্ন কমা পূর্ণচ্ছেদ
বিষ্ময় বিষাদ জিজ্ঞাসা সেমিকোলন।
চতুর্দিকে মাঠময় মানুষের চেহারায় শুয়ে থাকা হলুদ ঘাস
কোন প্রত্ন চিহ্ন বা নির্মোহ কথাহীন হা হা বাতাসে—
নিঃশ্বাস ছুঁড়ে দেয় জীবন ধ্বংস বিলাসে,
কঁকিয়ে ওঠে অজানা আর্তনাদ সকল ভাঙ্গা ঘরে।
শিরস্ত্রাণ বদলে বদলে যায় এটা কি প্রীতিময় সুখ,
আজন্ম দেখেছি জমি জিরেত পাক পাখালি মুক্ত বাতাস—
রাত ভর স্বপ্নহীন আতংক ভিটে মাটি চলে গেছে উচ্ছন্নে
শ্বাপদের ঘরে সাহসে সুখে থাকা আবারও সেই অরণ্য কুটির,
বহুবারই বিচ্ছিন্ন সময় আগলে কথাও কালের কলিজা—
রক্ত চোয়ানো কথা মুখ জানেনা ভাষার প্রসব বেদনা,
আহা রাজা ! তুমিও যে সিংহাসনে সে কী দৈব বশে।