বর্ষার স্নিগ্ধ পরশ
সুবর্ণা ভট্টাচার্য্য
আর্দ্র বায়ু বইছে বেগে
ধূলা উড়ে হাওয়ার মাঝে,
পাখি উড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে
পাতা কাপে থরথরে।
ফুল বাগানে নরম কুঁড়ি
হিমেল ছোঁয়ায় শিউরে ওঠে।
শনশনে বাতাস গায়ে মেখে
সবুজ ঘাস হেলিয়ে দুলে।
আকাশ জুড়ে মেঘ জমেছে
মেঘ গুড়গুড় ডমরু ডাকে,
চাষির মুখে হাসি ফুটে
ধানের শিষ দুলতে থাকে।
রাখাল ছেলে লাঠি হাতে
মাঠের পথে যায় চলে,
ঘাসের বোঝা মাথায় করে
গোরু নিয়ে বাড়ি ফিরে।
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে
শাল সেগুনের বনে বনে,
শরীর দুলে তালে-লয়ে
কৈশোর এসে জড়িয়ে ধরে।
রিমঝিম শব্দে বৃষ্টি ঝরে
কদম কেয়ার ডালে ডালে,
কলাপাতার ছাতার নিচে
মাথা লুকোয় দস্যি ছেলে।
লতা-পাতা জেগে উঠে
সতেজ-সবুজ রঙে।
ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ
মন আকুল করে তোলে।
হাঁসের ছানা পুকুর জলে
ডুব দিয়ে খেলা করে,
খালে-বিলে শাপলা দোলে
নদীতে নাও ভেসে চলে।
ভিজছি বৃষ্টির অবিরাম বারিধারায়,
প্রাণের ছোঁয়া লেগেছে বনবিথীকায়।
হারাবো আজ দূর অজানায়,
প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যতায়!